লিখে যা বাউন্ডেলে
- মিটু সর্দার ২০-০৪-২০২৪

কবি খেতাবের জন্য অদম্য সাহস নিয়ে একটি কবিতা লিখতে বসে
কলমের পাছা কামড়িয়ে দাঁত যখন নষ্ট করি
হঠাৎ ঠাকুর মশাই ধমক দিয়ে ব'লেন
"গায়ে গিয়ে হালচাষ কর, নাহয় চাষের বলদ হ
এই ছাইপাঁশ লিখে তো আমার মতো বিশ্বময় আলো ছড়াতে পারবি না"।
রবি যখন ব'লে হতে পারবোনা কবি
ছুঁড়ে ফেলি কলম, ধুসর পান্ডুলিপি।
নজরুল এসে ব'লেন হেসে, রাগ করিওনা মিছে
কলম ক্ষুরধারে ঠাকুর মশাই সাহস দিচ্ছে পিছে।
অদম্য সাহস তোমার বুকে, লিখো তুমি মনের সুখে
তোমার জয়ধ্বনি হয় রবীন্দ্র নজরুলের মুখে।
বিদ্রোহী বীরের মুখে শুনে শান্তনার বাণী
চোখ দিয়ে নিমিষেই গড়িয়ে আসে কয়েক ফুটা পানি।
কেঁদো না, কেঁদো না মুছে ফেলো জল
মাইকেল মধুসূদন দত্ত এসে দেয় বল।
দেশকে ভালোবেসে আমিও লিখেছিলাম বিদেশ বসে
তুমিও লিখছো আমার মতোই দেশের মাটি ছেড়ে।
যখন হাতে কলম নিয়ে লিখি কয়েক লাইন
জীবনানন্দ এসে ব'লে এ সমাজ বলবে না ফাইন।
জীবদ্দশায় মোরে দেয়নি খ্যাতি, মৃত্যুর পর সুখ্যাতি
মানতে চায়নি কেউ, এখন সাহিত্যাঙ্গনে খায় মোর কবিতার ঢেউ।
একটি কবিতা লিখবো কি লিখবো না
এমন ভাবনা এলে মনে
বৃথা নষ্ট করিওনা সময় নাগাল পাবেনা দৌড়িয়ে
সব ভাবনা আমার পল্লী কবি এসে দেয় উড়িয়ে।
তোমার হাতে আছে যাদু, লিখতে থাকো দাদু
খ্যাতি তুমি নাইবা পেলে, স্বার্থক তুমি,
তোমার লিখায় যদি মজলুমের মুক্তি মিলে।
আল মাহমুদ ব'লে এসে, তোর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে
লিখে যা বাউন্ডেলে তোর মনে যা আসে।
আমি হলাম তিতাসের ছেলে, তুই হলি সিনাইর
তোর মাঝে দোল খায় হিজল ফুলের মিনার।
গাঁয়ের কথা, প্রিয়ার ব্যাথা লিখবি যে প্রাণ খোলে
যাবি না কখনো অসহায় মানুষের কথা ভুলে।
কি লিখবো, কি লিখবো ভাবছি যখন বসে
শহীদুল্লাহ্ এসে থাপ্পড় মারে কষে।
তোর ব্যাথা, মোর ব্যাথা একই সুতোয় গাঁথা
মোদের ঘরে প্রিয়ার স্মৃতি জড়িয়ে বহু কাঁথা।
বুঝতে পেরেছি অবশেষে, কবি হওয়ার আশা মিছে
দ্যাখতে পাইনা কিচ্ছু আমি ধান পাতার শীষে।
আমি কবি হওয়ার আাশাই ঠেলে ছাঁই
'বিদ্রোহী' কবিতার মতো একটি কবিতা হতে চাই।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।