ভোর
- মামুনুল হক - বাস্তববাদী ১৯-০৪-২০২৪

নিস্তব্ধ ভোরে আছি একা দাঁড়িয়ে!
বয়ে যায় এক মৃদু বাতাস
দিয়ে যায় প্রাণ চঞ্চলতা !

হঠাৎ দেখি শহরের অলিগলি
কৃষ্ণ কাকের কা কা শব্দে মুখরিত!
পঁচা দুর্গন্ধ খাদ্যকণার আসক্তিতে-
একেকটা কষ্ণ খাচ্ছে হুড়োহুড়ি!
যেন রাজত্ব কায়েমে ব্যস্ত সব কৃষ্ণের দল!
অথচ এ কষ্ণদেরই ঐক্যের বাণী -
শুনে এসেছি লোকসংগীতের সুর ও ছন্দে!

বস্তুত, কোথায় নেই রাজত্ব?
এ নশ্বর মৃত্তিকার সবখানে সব শ্রেণির -
মাঝেই দেখা যায় অসুস্থ এ প্রতিযোগিতা!
কেও ফিরে যায় পেয়ে মুষ্টিমেয় ;
আর কেও ফিরে যায় মুক্ত হস্তে!
মনে হয় এটাই জগতের নিষ্ঠুরতম রীতি!

দূর বহু দূর হলো দৃষ্টিগোচর !
অগ্রসর হতেই দেখি সম্মুখ পানে
শালিক-চড়ুই গেয়ে চলছে সাম্যের গান।
নেই তাদের মাঝে কোনো হুড়োহুড়ি
আছে শুধু উষ্ণ দেহের প্রাণ চঞ্চলতা!
নেই কৃষ্ণদের মত রাজত্ব কায়েমের বালাই!
এক একটা যেন ভ্রাতৃপ্রেমে নিমগ্ন!
তা দেখে নিশ্চয়ই কৃষ্ণ দলের ঈর্ষা হয়!

যান হীন রাস্তায় কুকুর ছানাগুলোর মাখামাখি
স্মরণ করিয়ে দেয় অদ্ভুত কোনো কিছু!
চেহারায় নেই ক্ষুধার্ত থাকার বিন্দুমাত্র লেশ!
আছে শুধু গলাগলি আর দলাদলি! অপরদিকে,
মা কুকুরটা লুটিয়ে আছে অগভীর ভাবনায়!
চেহারায় ফুটে উঠেছে জীবনের সব দুঃখগাথা!
পা যুগল ফেলি ভীত সন্ত্রস্ত মনে
আর অগ্রসর হয়ে দেখি দু'চোখের পার্শ্বদেশে -
দাগ কেটে হয়ে গেছে প্রাণহীন নদী!

প্রশ্ন রেখে বলি, পশুদের আবার দুঃখ কিসের?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।