কতোটা তফাৎ
- মিটু সর্দার ১৮-০৪-২০২৪

যাকে ব্লক দিলে করে খুব যত্ন, সে তো রত্ন
পরপারের কান্ডারী, এ জগতে রসদ বাহী।
এমন কাজ করে পাপ বাড়িওনা ভবে
সে তোমার অর্ধাঙ্গ সর্বলোকে কহে।
নামাজ রোজা যাবে বিফলে কষ্টে এলে জল
ঠেকবে খেয়া ঘাটে, সবকিছু হবে নিস্ফল।
যা কুড়িয়ে জমিয়েছো থলে, সব যাবে জলে
উর্ধ্বাকাশে তাকিয়ে যদি একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
অবহেলা,অবজ্ঞা,অনাদর করে সুদীর্ঘ করিওনা পথ
সেই তো একমাত্র বাহন, জান্নাতে পাড়ি দেওয়ার রথ।
স্ত্রী সন্তানের সুখের তরে নষ্ট করছে যৌবন
শান্তনার বাণীটুকু শুনতে পায়না ক্যানো করছো এমন?
মরা পাতা ঝরে যাবে এটাই তো নিয়ম
অতীত মনে রেখে ক্যানো করছো অনিয়ম।
পুরনো স্মৃতি ভুলে আঁকড়ে ধরো বর্তমানের মূল
প্রশস্ত করে হৃদয়, করো নিজেকে সদয় শুধরে নিতে ভুল।
সুন্দর জীবনে যে লেপ্টে দিয়েছে কলঙ্কের দাগ
তাকে মনে রেখে ক্যানো করো কাবজাব।
হৃদয়ের দ্বার খোলে ব্লক আনব্লক করে
অবসান ঘটিয়ে নাও সকল দ্বন্দ্বের, উপড়ে ফেলো মূল মন্দের।
মন্দ মানুষ মনে রেখে দ্বন্দ্বে জড়িওনা আর
এমন শুদ্ধ মানুষ হাতছাড়া হলে কাঁদবে বারংবার।
বৈশাখী ঝড় যদি হানে আঘাত
ভেঙে যাবে তোমার সোনায় মুড়ানো সংসার।
এমন ভালো বর পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার
মিলিয়ে দ্যাখো মেয়ের বাবার সাথে কতোটা তফাৎ।
একজন পুড়িয়েছে তব ভিতর বাহির
আর অন্যজন পুড়া স্থানে মাখিয়েছে মলম।
একজন দিবানিশি চোখের জল ঝরিয়েছে
আর অন্যজন নরম হাতে চোখের জল মুছে দিয়েছে।
ভেবে দ্যাখো একবার, হাজারো তফাৎ পাবে বারবার
ভূলুণ্ঠিত করো তার স্মৃতি, যে পুড়িয়ে কলঙ্কিত করেছে মানব রীতি।
কখনো শুনিনি আগে
খুব যত্ন করে কেউ কাউকে ব্লকে রাখে।
মোবাইল থেকে দিয়েছো ব্লক ক্ষতি নেই তাতে
মন থেকে দিও না ব্লক, কাঁদতে হবে আখিরাতে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।