সর্বংসহা
- মোঃ কামরুজ্জামান - প্রায়শ্চিত্তের দহন ১৯-০৪-২০২৪
যে চলে গেছে ,সে সব মেনে নিয়েই চলে গেছে!
অঙ্কুরিত বীজ,সর্ষপ দানা আর মধ্য রাতের
দূরন্ত স্বপ্ন গুলো হাতের মুঠোয় বন্দি করেই
সে চলে গেছে ।
ভুল মানুষের অকৃপ অনাচার,
নির্দয় অবহেলা আর অসংহত অনাদরে
কি এমন তার যায় আসে?
জীবনের কোন পরোতে তার ভাটা পড়ে?
কাচের চুড়ি,লাল টুকটুকে শাড়ী,
কপালের কালো টিপ!
অবশিষ্ট লিপস্টিকের নিভৃতচারী বেদনা
কতটুকু তারে কাছে টানে?
যে চলে গেছে,সে সব মেনে নিয়েই চলে গেছে!
সকালের রোদ্দুর,পাখির কলতান,মেঘনার জলের
ছমছম শব্দ,দক্ষিণা বাতাস,পূজার ফুল!
সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েই সে চলে গেছে!
যে চলে গেছে সে অমিশুক ডাহুকের মত বিচ্ছেদ
আর বিরামহীন একাকীত্ব ভালবাসে!
ভালবাসে নাটাই বিহীন ঘুড়ি, নির্জন সন্ধ্যা,
কালো রাতের আঁধার!
আর স্টেশনের শেষ ট্রেনের জন্য ,
প্রতীক্ষার যাত্রী হয়ে রাত পোহাতে ভালবাসে বলেই
সে, নিভৃত জ্বালা বুকে বয়ে নীরবে চলে গেছে।
যে চলে গেছে সে চিরতরে মূছে দিয়ে গেছে
বুকের ভিতরে লেখা একটি শাব্দিক নাম,
ঘাসফুল,সবুজ অরণ্য,নীল প্রজাপতি
আর বাসন্তী কোকিলের উচ্ছ্বসিত গান!
যে চলে গেছে,সে সব সংকীর্ণতা মেনে নিয়েই চলে গেছে!
কান্নার জল,ভেজা পাপড়ী, অন্তর্গূঢ় বেদনা,
বিদিশা নয়ন কোণে লুকানোর
অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলেই
সে চলে গেছে !
চিরতরে মিশে গেছে না ফিরার দলে ,
গোপনে নীল কন্ঠী বিষ গিলে—॥
১১মার্চ২০২১ইং
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।