কাব্যচোর
- মিটু সর্দার ১৯-০৪-২০২৪

দ্যাখো দ্যাখো ঐ দ্যাখো -
কিভাবে ঢালছে পয়সা খ্যাতির তরে
অন্যের সৃষ্টি চুরি করে গেলাচ্ছে নিজের নামে।
মাথার ঘাম ঝরিয়ে পায়ে, অর্ধনগ্ন গায়ে
বিশ্রাম হীন খাটিয়ে মস্তিষ্ক সৃষ্টি করেন স্রস্টা
নিজের নামে হুবহু চালিয়ে দেন কতিপয় ভ্রষ্টা।
পয়সা হলে না-কি বাঘের চক্ষু মিলে-
রাতারাতি মিলে গদি
কিঞ্চিৎ ঢাললে খ্যাতি মিলে, অন্ধকার ঘরে বাতি।

বাঘের চামড়া হরিণ দিলে গায়
হরিণকে কি আর বাঘ বলা যায়
সিংহের রাজ্যে ইঁদুরের নেতৃত্ব
তা কি আর কেউ মানতে চায়।

খ্যাতির তরে ছুটছে মানুষ লুটছে অন্যের কাব্য
ভেতর তাদের মালপানি শূন্য, হতে চাচ্ছে গণ্য।
শব্দ যদি খেলা নাহি খেলে মস্তিষ্কে
অন্যের সৃষ্টি কেটেকুটে ন্যাংটো করে হওয়া যাবে কি নজরুল-রবীন্দ্র।

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন কবি হবার তরে
লিখে যাচ্ছে বীর কেটেকুটে অন্যের শির
ভাবুক যদি নাহি হতে পারো
ক্যানো নিজেকে কবিতার কবি জাহির করো?

সারারাত জেগে কবি লিখে কাব্য
উৎপেতে থাকে কাব্যচোর কিছু লিখা যদি পায় নব্য
কবে ফিরবে হুঁশ,জাগবে বিবেক হতে সভ্য
বিলীন হবে তোমাদের এ মিথ্যে আস্ফালন,
আলীক দম্ভ।

বড় নেতার সাথে সেলফি তুলে
যদি হওয়া যেতো বড় নেতা
আঠারো কোটি মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তো
জনতার যাঁতা নেতা মরতো।

টাকায় কিনতে চায় খ্যাতি, শক্ত করতে গদি
কাগজের মতো উড়ায় টাকা,টাকায় বন্ধ করে ফাঁকা।
প্রাচীর পত্র ছাপিয়ে, দেয় যদি দেয়ালে আটিয়ে
মিলে যায় নেতার খ্যাতি, যোগ্যতার গোষ্ঠী বিকি।

জাগাও মনুষ্যত্ব, ছাড়ো নষ্টত্ব, দাঁড়াও উঠে
ক্ষানিকটা ভাবো পথের শিশু, অবহেলিত যিশু
নির্যাতিত নিপীড়িত, অনাহারীত মানুষ নিয়ে
লিখো এই আকাশ, বিবর্ণ বাতাস, ঐ সমুদ্দুর নিয়ে।

এসো খোলা আকাশের নীচে
মুক্ত বাতাসে গান গাই, নতুন সুর তুলি
"নিজের মেধায় লিখবো কাব্য
ছুরিকাঘাত করবোনা অন্যের অন্তরায়"।

এ শুধু নয়কো ধূসর কাগজে কলমের কালি
এ শুধু নয়কো কবির একখানা কাব্য
এ কবির সাধনা, সন্তান সমতুল্য
চুরি না দাও গো মূল্য-
তব সৃষ্টিও হবে একদিন অমূল্য।

০৮/০৫/২০২২ সৌদি আরব

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।