বিজয় উল্লাস
- শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ২৫-০৪-২০২৪

কত রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ পেলাম
বীরশহীদ বীরসেনারা লও হে আমার সালাম,
একাত্তরে ভয়াঙ্কর সেই পাক তান্ডব লীলা
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মেতেছিল মরণ খেলাl

কাল নিশিতে পাকসেনারা বাংলাদেশে বুকে
রুদ্রশর্মা সজ্জিত অস্ত্রশস্ত্রে অতর্কিত ঢুকে
জ্বালায় পোড়ায় ও হত্যা করে ঘুমন্ত মানুষ
তারা ভয়ে ত্রস্ত দিশাহারা তবু হারায় না হুঁশ।

উদ্দীপ্ত সব তরুণ যুবক হাত রাখে এক হাতে
তুমুল যুদ্ধ দীর্ঘ ন'মাস পাক-বাহিনীর সাথে।
কত যে বীর শহীদ হলো স্বদেশ ভক্তি খাঁটি
লাল রক্তে ভিজে গেল বাংলাদেশের মাটি।

স্বার্থ লোভে নিজের দেশেই করে আক্রমণ
ভেঙে খানখান করে দিল আপন ভায়ের মন
বেইমান বিশ্বাসঘাতক ওই হিংস্র হানাদার
কত’না ভায়ের প্রাণ নিয়েছে শান্ত এ বাংলার।

ওরা ভাইয়ের বুকে অতর্কিতে চালায় গুলি
অবুঝ শিশুর আঁছড়ে ওড়ায় মাথার খুলি
বোনের সম্ভ্রম লুটলো ওরা আনন্দ উল্লাসে
মিত্র হয়ে পাশে দাঁড়ালো ভারত বর্ষ শেষে।

কেমন করে মাতৃ ইজ্জৎ করে লুট পাকবাহিনী
আছে ইঁট পাথ দেওয়ালে লেখা সেই কাহিনী !
পাকবাহিনী সড়যন্ত্রের বিছায় কঠিন জাল
পদ্মা-মেঘনা, যমুনা-সুরমা রক্তে লালে লাল.

ধানের ক্ষেত, পাটের ক্ষেত তাজা রক্তে ভেজা
স্তুপ করা লক্ষলাশ যেন সব সূর্য তাপে সেজা
চোখ নাখ মুখ পোকার দখলে বাংলার সন্তান
বিভৎস আর করুণ ভাবে বিলিয়ে দিলো প্রাণ।

স্বদেশ প্রেমে মৃত্যুর মালা পরে গলায় সেদিন
পাকসেনার পরাস্ত করে করেছে দেশ স্বাধীন,
‘ষোলোই ডিসেম্বর’ মুক্ত বিজয় নিশান তুলে
বিজয় উল্লাসে মাতে জনতা দুঃখ যত ভুলে

সোনালী রোদে মায়ের হাসি করে ঝিকঝিক
ফুলের ঘ্রাণে পাখির গানে মুখরিত চারদিক
নদীর ঢেউয়ে যায় বয়ে মায়ের হাসির টোল
মানচিত্রখচিত স্বাধীন পতাকায় খুশির দোল।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।