তাঁকে কখনো তোমার সাথে কম্পেয়ার করিনা
- মিটু সর্দার ১৮-০৪-২০২৪

তোমাকে ছেড়ে আসার পর আমার খুব একা একা লাগতো
খুব কষ্ট হতো দিনগুলো পার করতে
সমস্ত আকাশটা ভেঙে পড়তে চাচ্ছিলো আমার উপর
কষ্টের ঢেউগুলো প্রতিনিয়ত আছড়ে পড়তো হৃদয় সমুদ্র তীরে।
মনে হতো এই আগুনে পুড়ে আমি ছাঁই হয়ে যাচ্ছি
ভেসে যাচ্ছি এক অজানা স্রোতে
কোনক্রমেই এগিয়ে যেতে পারছিলাম না স্রোতের বিপরীতে।
তোমাকে ছেড়ে আসার পর অনেকেই জানতে চেয়েছিলো
ক্যানো তোমাকে ছেড়ে এসেছি --
আমি কখনো কাউকে বলিনি তোমার নীরব নির্যাতনের কথা
কখনো কাউকে দ্যাখাইনি পিঠের এবং নিতম্বের কালো দাগগুলো।
তোমার মনে পড়ে?
অসুরের মতো হাতে চেপে ধরেছিলে আমার মুখ
নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না --
আমার চিকন হাতে ছাড়াতে পারছিলাম না তোমার শক্ত হাত।
নাফির বাবা ফেরেস্তা হয়ে এসেছেন আমার ছন্নছাড়া জীবনে
আমাকে মুক্তি দিয়েছেন --
তোমার নিক্ষেপিত আগ্নেয়গিরি থেকে--
বিস্তৃত আকাশ দিয়েছেন, মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে --
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন আমার শূন্য উদ্যান।
তোমার ফাঁদে পা ফেলার আগে --
আমি কখনো বুঝতে পারিনি তার নীরব ভালোবাসা
আমার জীবন কলঙ্কের কালিতে মাখানো জেনেও
সে প্রসস্থ করে দিয়েছে তার হাত, আকাশসম বুক।
তার কোমল হাত ধরে আমি নির্দিধায়, নিঃসংকোচে -
হাসতে হাসতে জাহান্নামেও বসতি গড়তে পারি --
লড়তে পারি আপনজনদের বিরুদ্ধে --
তার স্থান আমার হৃদয়ে, সর্ব কিছুর উর্ধ্বে।
আমি তাঁকে কখনো তোমার সাথে কম্পেয়ার করিনা
তুমি ছিলে বন্য,জঘন্য আর সে অনন্য --
তুমি ছিলে প্রেমহীন, নির্দয় আর সে প্রেমময়ী, সদয়।
তোমার চোখে অগ্নি আর তার চোখে সবুজ ঘাসের সজীবতা
তোমার হাতে শেকল আর তার হাতে বাকল --
তার সাথে তোমার তুলনা কখনোই চলেনা।
আমার শাড়ীর আঁচলে বাঁধা আলমারি, সিন্দুকের চাবি
ইচ্ছে মতো পরিধান করতে পারি রংবেরঙের শাড়ী --
করতে হয়না আর শশুর-শাশুড়ীর তাঁবেদারি।
সে নিজহাতে আমার শাড়ীতে কুচি তুলে দেয় --
পেছন থেকে লাগিয়ে দেয় অন্তর্বাসের হুক --
একটি নারীর জীবনে কি আর হতে পারে তারচে বেশী সুখ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।