নামাকৈয়াকুড়ি
- পারভেজ আহমেদ সাগর ১১-০৯-২০২৪
এখানে লালচে সূর্য প্রত্যহ আসে
কাল জলেতে চাঁদ রোজই হাসে,
বৃক্ষরাজিতে বাঁধে পাখিরা নীড়।
এখানে চারপাশ থাকে চিরসবুজ
চেনা প্রকৃতির রূপ খুব অবুঝ,
কেউ ঘর ছেড়ে হয়েছে বহিপীর।
এখানে গোলাপী রং পদ্ম ফুলে
শাপলা বাহারি রং ছড়ায় জলে,
শখে চাহিলেও রবে চক্ষু স্থীর ।
এখানে বাতাস বহে খুব ধীরে
লতা পাতায় থাকে সব ঘিরে,
জলাশয় গুলোও নয় গভীর ।
এখানে পক্ষীরা করে কলতান
কোকিলও গাহে সুমধুর গান,
শুধু কুকুর-বিড়াল খুব গম্ভীর।
এখানে খোলা মাঠে পশু ঘুরে
শ্যামল ছায়াও নয় বহুদূরে,
শাখা বয়ে গেছে এক নদীর।
এখানে রাতের মায়া খুব নীরব
যেন শিল্পীর আঁচড়ের ছবি সব,
তবে খুবই অভাব রং তুলির।
এখানে কবির যেন খুব অভাব
রাতে শিয়াল কুকুরে চলে ভাব,
দুই পক্ষের দলই থাকে হাজির।
এখানে উপরে উপরে সবে মিল
সুযোগ পেলে মারে গাছে ঢিল,
তারা সকলেই আবার বড় পীর।
এখানে কুয়াশায় হয় সব সাদা
সবে বর্ষায় মাখে গায়ে কাদা,
গ্রীষ্মে দেখা মিলে প্রখর সূর্যির।
এখানে ফুলে-ফলে খুব সুবাস
পত্র-পল্লবে ভাসে বৃষ্টির আভাস,
বর্ষার আকাশে থাকে মেঘের ভীড়।
এখানে শরৎ আকাশে উড়ে ঘুড়ি
হয় আঙ্গিনার গাছের ফল চুরি,
মালিকের মন ভেঙ্গে হয় চৌচির।
এখানে কৃষকের মাথার ঘাম ঝড়ে
রোজ জেলেরা সবাই মাছ ধরে,
তারা অবহেলিত হলেও শ্রেষ্ঠ বীর ।
এখানে গোরস্থানে থাকে সব লাশ
আমরা এক আল্লাহর সৃষ্ট কৃতদাস,
তবুও ব্যস্ততা নেই কোন বন্দেগীর।
এখানে বর্ষাকালে জল খুব খেলে
বঁধুরা চুল শুকায় রোজ খোঁপা খুলে,
শখারা রূপের আগুনে হয় অধীর।
এখানে স্রষ্টার অসংখ্য সৃষ্টির বাস
খোদাই সৃজিছেন মোদের চারপাশ
রূপের শেষ নেই নামাকৈয়াকুড়ির।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।