বর্ণিল মানুষ
- পারভেজ আহমেদ সাগর ১০-১০-২০২৪

নিস্তব্ধতায় নিঃসঙ্গতা আসে
নিঃসঙ্গতায় হয় নষ্ট,
নষ্ট হয়ে ক্লেশের যাতনাতে
কেউ হয় দিক ভ্রষ্ট।
দিকভ্রষ্ট লাইনচ্যুত তারা
কেউ করে এক্সিডেন্ট,
এক্সিডেন্টে দিশাহারা হয়ে
হয় অনেকের ফ্রেন্ড।
ফ্রেন্ড লিস্টে থাকে সকলে
চলে বহু ডাকাডাকি,
ডাকাডাকিতে চলাচল হয়
মূল কাজেতে ফাঁকি।
ফাকি ঝুঁকিতে হচ্ছে কারোর
পড়াশোনাটা নষ্ট,
নষ্ট গাড়ি চালিয়ে কেউবা
পাচ্ছে ভীষণ কষ্ট।
নষ্ট হচ্ছে কারোর ক্যারিয়ার
কেউ হচ্ছে পাগল,
পাগল হয়ে শুয়ে থাকে পথে
কেউ হয় ছাগল।
ছাগল সে তো শুধুই বোকা
আস্ত এক হাঁদারাম,
হাঁদারামেরা বুদ্ধিমান হলেও
দেয় না কেউ দাম।
দাম দিলেই কি বেড়ে যায়
মানুষের সম্মান,
সম্মান সম করে দিয়েছেন
আল্লাহ মহান।
মহান হয়ে কেউবা করেন
পড়াশোনার ধ্যান,
ধ্যান করে কেউ চাকুরীজীবি
কেউ বিজনেসম্যান।
বিজনেসম্যান হয়ে কেউ ধনাঢ্য
নেই কারো টাকাকড়ি,
টাকাকড়ির চিন্তা বাদে কেউ
করে বিদ্যার ছড়াছড়ি।
ছড়াছড়ি করে টাকা কেউবা
করে জ্ঞান অর্জন,
অর্জন তাকে বানিয়ে দিচ্ছে
সুশীলের জনগণ।
জনগণের ভালোবাসায় পেয়ে
হয়ে যায় কেউ নেতা,
নেতা দেশের কল্যাণ করেই
পায় জনপ্রিয়তা।
কেউবা আবার রূপচর্চা করে
করেন মডেলিং,
মডেলিং করে কেউবা আবার
মাথায় লাগায় শিং।
শিং মাছের কাটায় গুঁতোয়
কাঁদে কারোর মন,
মন জয় করে কেউবা বিশ্বের
বিখ্যাত জনগণ।
জনগণের অনেকই আবার
বড় ধর্মিক ,
ধর্মিজ হয়ে ধর্ম বিদ্যাগুলো
ছড়ায় নানান দিক।
দিক বেদিকে কেউবা ছুটে
পাড়ি দেয় বিদেশ,
বিদেশ গিয়ে কোটিপতি কেউ
কারোর শান্তি শেষ।
অনাহারীদের জীবন কাটে
ঘুরে বাড়ি বাড়ি,
বাড়ি বাড়ি গ্রামে দেখতে পাবেন
গরুর জন্য চাড়ি ।
চাড়ি দেখে কেউবা আবার
করে মিটার বিল,
বিলের মাঝে মাছ ধরে কেউ
কেউ বসে মতিঝিল।
মতিঝিলে সব দালান কোটা
কেউ খায় চা-পান,
কেউবা আবার দুঃশ্চিতায়
মারে সিগারেটে টান।
টান দিয়ে কেউ নিচ্ছে কেড়ে
টাকা-ফোন-গয়না-ঘড়ি,
ঘড়ি দেখে দৌড়াচ্ছে কেউ
ধরবে যান্ত্রিক গাড়ি।
গাড়ি চড়ে যাচ্ছে কেউবা
স্কুল বা কলেজ,
কলেজ পড়ে কাটাচ্ছে কেউ
বাড়াচ্ছে খুব নলেজ।
নলেজ ছাড়াই কেউবা চলে
কাজে মারে ফাঁকি,
ফাঁকি দিয়ে কেউ নেশা করে
ভবের দেশের পাখি।
পাখির রবে মুখরিত সকাল
ভোরে উঠে সূর্যি,
সকলে নামাজ আদায় করে
খুঁজা শুরু করে রুজি।
রুজি সকলের নির্ধারিত করা
যেটাই ভাবি আমরা,
আমরা খেলে তুলে নিতে হয়
উপরের ছাল চামড়া।
চামড়া তুলে জুতা বানিয়ে দিলেও
শোধ হবেনা মা'র ঋণ,
ঋণ করে কেউ দিশেহারা আজ
বুকে ব্যাথা চিনচিন।
চিনচিন ব্যথার মাঝেই কেউ
নাচে তাক ধিন,
তাক ধিন নৃত্য করেই আবার
কেউ হারিয়েছে দ্বীন।
পেশা যেটাই হউক না মোদের
আমরা সবে মানুষ,
একে অপরকে ভালবেসে যাব
উড়িয়ে রঙিন ফানুস।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।