মাছ ধরার কেচ্ছা
- অধ্যাপক আব্দুস সালাম ২৯-০৩-২০২৪
বর্ষাকালে খালে-বিলে, পানি থৈ থৈ করে,
দোয়াড়ি-আটন পেতে সবে বান্দালে মাছ ধরে।
পুকুর-মাঠে ধুপা ঘাটে, মাছের ছড়া ছড়ি,
রইনা-জিয়েল-খলশে ও চ্যাং ধরছে কাড়ি কাড়ি।
চিংড়ী-চিতল বোয়াল-ফলই ধরছে যে যা পারে,
নলা মাছের গলা ধরে কেউবা তোলে পাড়ে।
পুঁটি জালে পড়ছে পুটি, কৈ-জালাতে কৈ,
রুই-কাতলা রুই-জালাতে, ফুটছে যেন খৈ।
টেংরা মাছের গ্যান্ গ্যানানি পাবদা মাছের দাড়ি,
কাকলে মাছের ঠোট ধরে কেউ, যাচ্ছে নিয়ে বাড়ী।
পাকাল মাছের নেইকো আকাল করছে পানি ঘোলা,
ট্যাপা মাছের ট্যাপ্ ট্যাপানি খ্যাপলা জালে ঝোলা।
খু্ল্লে ঘুনি দুড়ে চারো, কোচ-চবক ও পোলো,
এ সব দিয়ে মাছ ধরে সব বেজায় খুশী ছিলো।
কোচ-চবকে ছেদন করে মারছে বোয়াল-শোল্,
যুঁতির বাঁশে বিদ্ধ করে পালটে ফেলে ভোল্।
বড়শী গেঁথে মাছ ধরে কেউ চ্যাং পুঁটি ও রুই,
বড়শী গেঁথে ছিপ টেনে কেউ শোল্ মারে শুধুই।
সারা বছর মাছ মারে সব, পদ্মবিল ও খালে,
মাছে ভাতে বাঙ্গালিদের নাম ছিল এক কালে।
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।