উতলা ঢেউ ও জলের বাসর
- বিচিত্র কুমার ১৯-০৪-২০২৪

শুধু চাতক পাখির মতো রূপসী পদ্মার জল তাকিয়ে রয
আমার সম্মুখে আমার চোখে মুখের দিকে,
মৃদুস্বরে বললো সে আজ সমস্ত রাত আপনার জন্যে
নির্জন পৃথিরী একাকী রাত্রি আমি রূপসী পদ্মার বুকে।

সে বললো দেরযুগ আগে আমি এসেছি এই জ্বলন্তপূরীতে
রূপকথার গল্পের মতো একদিন বৃষ্টির জলে ভেসে,
সে অনেক কথা এখন আর করেনা আমার বুকে ব্যাথা
এখন আর কিছু মনে হয় না কত ঢেউ আসে যায় হেসে।

ধু ধু নির্জন রাতে সুদূর থেকে ভেসে আসে
নদীর তলোদেশের ঝিনুক বালিকাদের কণ্ঠের কান্না,
কখনো কখনো ওদের আর্তনাদের শব্দ ওরা সবে এসেছে
                                                            এই নতুন জগতে
ধারালো চোখা নদীর ঢেউ ওদের সহ্য হয় না।

কতো পুরুষ স্রান করেছে সে নদীর জলে
যৌবন বর্ষার মৌসুম এলে,
চোখা সে ঢেউ সাঁতার দেয় হেসে খেলে
উতলা রূপসী পদ্মার কামনার জলে।

একদিন রূপসীরা বুড়ো হয়ে যায় বুড়ি গঙ্গা নদীর মতো
কিন্তু তরুণীর রূপে সে পদ্মার জল ঝকমক করে থাকে না স্থির,
যুগ যুগ ধরে রূপসী পদ্মায় উতলা ঢেউ ও জলের বাসর চলে 
শুধু রূপসী পদ্মার জল তাকিয়ে রয আমার চোখে মুখের পর।

দুপচাঁচিয়া,বগুড়া।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।