একুশের কয়েকটি কবিতা
- বিচিত্র কুমার ১৯-০৪-২০২৪

(০১)
একুশের চেতনা
-বিচিত্র কুমার

একুশ আমাদের জাগ্রত চেতনা
এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা,
একুশ মায়ের দুঃখ বেদনা
একটি জাতির উদ্দীপনা।

একুশ আমাদের দমকা হাওয়া
বাহান্নর ঘুর্ণিঝড়,
একুশ মানে বদলে যাওয়া
আকাশ পাতাল তেপান্তর।

একুশ আমাদের প্রথম বিদ্রোহ
জলে ভাসা নীলপদ্ম,
একুশ মানে শপথ নেয়া
পদ্য আর গদ্য।

একুশ আমাদের রক্তে কেনা
মায়ের মুখের ভাষা,
একুশ মানে বাঙালির অধিকার
একাত্তের স্বাধীনতা।

একুশ আমাদের ভাইয়ের স্মৃতি
ফেব্রুয়ারির গান,
বিশ্ব মানচিত্রে রক্তে লেখা
বাংলা অভিধান।

(০২)
বাংলা ভাষার উপাখ্যান
-বিচিত্র কুমার

মায়ের মুখে শুনেছি-
আমাদের বাংলা ভাষার উপাখ্যান,
ঊনিশ'শ বাহান্নর আগে ছিলো না
এই ভাষার এত সম্মান।

ভিনদেশিদের ভাষাই বলে,শুনছিলাম
বলতে হবে আমাদের কথা,
এই খবরে পূর্ব বাংলার ছেলেদের
ভীষণ মাথা ব্যথা।

ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেরা সব
গেল ছুটে রাজ পথে,
স্লোগান মিছিল চলে দিকেদিকে
"রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"এই শপথে।

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
মিছিল মিটিং সব নিষিদ্ধ,
রফিক শফিক বরকত জব্বার সহ
হলো আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ।

প্রতিবাদের ঝড় উঠে পূর্ব আকাশে
সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে,
স্বীকৃতি পায় বাংলাভাষা
আমাদের ঘরে ঘরে।

(০৩)
আমরা বাঙালি
-বিচিত্র কুমার

সকল জাতির শ্রেষ্ঠ জাতি
আমরা বাঙালি,
বিশ্বের বুকে মাথা তুলে বাঁচার জন্য
শতশত প্রাণ দিয়েছি জলানঞ্জলি।

আমরা বাঁচার জন্য রক্ত দিয়েছি
আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি,
আমরা অধিকারের জন্য রক্ত দিয়েছি
আমরা স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি।

আমরা ভীতু কাপুরুষের জাতি নই
আমরা বীরের জাতি,
বিশ্বজুড়ে শান্তিবাহিনীতে
আমরা পেয়েছি শত খ্যাতি।

আমরা পহেলা বৈশাখ,নবান্ন,হালখাতা
শত আনন্দের সাথে উদ্যাপন করি,
পান্তাইলিশ পিঠাপুলি পায়েস রাঁধি
অন্তর থেকে আত্মীয়তা করি।

আমরা মজিব-নেতাজি-অমর্ত্য সেন
তিতুমীর-সূর্যসেন-ক্ষুদিরামের জাতি,
বাউল-রবিঠাকুর-নজরুল-লালন:
বিদ্যাসাগর-রামমোহনের সৃষ্টিতে মাতি।

নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।