সুপ্তোত্থিতা (২)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

তুমি কাঁচা মেহেদী রঙা চুড়ির মতন রিনিঝিনি হাসিতে শরৎ নামাও।
সেই ছেলেটি জানে..
তুমি নভেম্বরের আকাশের নক্ষত্র বৃষ্টির মতন নিস্তব্ধতায় ঝলমলে ভালোলাগার দ্যুতি ছড়াও।
সুপ্তোত্থিতা তুমি উত্তরের হাওয়া রূপে
পৌষবরণ কুয়াশায় মোড়ানো ঠোঁটে
রহস্যের অলিন্দে দাড়াও
তারপর মায়ানগরীর ডানায় তোমার এলিয়ে দেয়া ঢলঢলে চুলের ঘ্রাণে হেমন্তের জাদু নজর কাড়ে।
একই লিফটে দুজন দুজনার পাশে মহাকালের গাম্ভীর্য নিয়ে দাড়িয়েছে বহুবার।
কিন্তু আজ লিফটে প্রবেশ করেই সুপ্তোত্থিতার এগারো নম্বর বাটনে নরম আঙুল চাপার দৃশ্যও
বজ্রাহতের মতন ছিঁড়ে দিলো সেই ছেলেটির মাথার তার!
মাথায় ছিটওয়ালা টিউবলাইটের মতন তাকায়
সেই বোকাসোকা ছেলেটি সুপ্তোত্থিতার হাতের আঙুলে পরা রিংয়ের দিকে।
কালোরঙা টি-শার্ট আর কালো ফ্রেমের চশমায় ছটফটে চোখের এই ছেলেটি জানেনা...
সুপ্তোত্থিতার মনের শহরেও তার মুচকি হাসিতে অবচেতন ভোর হয়,থামিয়ে দিয়ে একাকীত্বের বিনয়।
সুপ্তোত্থিতা,এখনো সময় আছে তুমি বলে দাও এ রিং এঙ্গেজমেন্ট রিং নয়!
তবেই না লিফটের ক্ষণকালীন যাত্রা শেষ হবার পরও কোন এক ম্যাজিকাল মূহুর্তে প্রয়োগ করতে পারে সেই ছেলেটি
সুপ্তোত্থিতার সহযাত্রী হবার মন্ত্র!
যেই মন্ত্রের বিশ্বস্ততা হতে পারে ষষ্ঠেন্দ্রিয় আলোড়িত এক শক্তি স্বতন্ত্র।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।