নিত্যতা বৈ কি
- স্বজন মাহমুদ ১৯-০৫-২০২৪

এক অন্ধকারাচ্ছন্ন প্ৃথিবীতে আসলাম
হাটলাম ২ যুগ
চোখ থাকা সত্ত্বেও বুঝতে পারিনি আমিও এক অন্ধ
সামনের চোখে দেখলাম বিমুগ্ধ অয়োময় ঘেরা সৌন্দর্যের এক লীলাভুমি
আর পিছনের চোখে দেখলাম ন্ৃশংসতা আর ধ্বংসের এক আবাদভূমি
স্বপ্ন গুলো এখানে তৈরী হয় ঠিকই তবে লোহা দিয়ে
কোমলতার ছোয়া এখানে পাওয়া যায় তবে স্বার্থের বিনিময়ে
সত্যের কারিগর যিনি তার কাছ থেকেই শুনেছি
স্বার্থহীন ম্ৃত্যুর সুখ
আজ উপলব্ধির কারাগারে বিবেকের কাছে আমি অবনমিত
কাকে বোঝবো আমি?
পার্থিবে পা রাখার অর্থই যে দায়বদ্ধতা
নিজেকে?
কিন্তু সেতো বড় দূর্বল!
বিবেক বলে দিলো
সামনের চোখে সে বড়ই দূর্বল কিন্তু পিছনের চোখে তার সবলতা দেখতে পাবে
প্রতিদিনই দ্ৃষ্টি তার অবাক উপলব্ধি পায়
তবে চিন্তটুকুই যেনো প্রতিষ্ঠার সারমর্ম হয়ে যায়
এইতো সেদিন সন্ধায়
বাড়ি ফেরার পথে জামাল ভাইয়ের হালিম খাচ্ছিলাম
খুবি স্বাদ করে এক প্লেট হালিম
চেয়ারের পিছন থেকে যেনো কারো আংগুলের খোচা লাগলো
ঘাড় ঘুরোলাম, ছোট্ট একটি বাচ্চা
অতপর উঠে পুরো শরীর ঘুরোলাম
উপোরে হাত পাতা আমার চোখে তার চোখ
বিনা বাক্য ব্যয়ে তার প্রয়োজন প্রকাশ
প্রতিদিনের অবাক পরের দিনের অভ্যাস হয়ে দাড়ায়
হালিমের পেয়ালাটি পেয়ে আমার চোখে তাকালো
খাওয়া শেষ তারপর
ঐ না করছিনা একবার? আবারো আইছস?
খাড়া শালারা!
বাস্তবতার কাছে দোকানদারের মায়ার বিসর্জন
এক অচিন্তনীয় মন নিয়ে আমার বাড়ি ফেরা
আজ আমি প্ৃথিবীতে অবস্থিত
তাই কালকের নতুন রোদের অপেক্ষায়
প্রতিদিনের মত খঁুজবো নিজের নতুন অস্তিত্ব

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।