অরুন্ধতী রহমান (৬)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

অরুন্ধতী রহমান...
তুমি জীবন-জীবিকার তাপে
গলে গলে বহতা নদ হয়ে গিয়েছো!
আমার জীবনের সাথে চুইঙ্গামের মতন
সেঁটে থাকতে থাকতেই বুঝি আমার লাগিয়া মুগ্ধতা হারিয়েছো?
আজও কিন্তু পাঁচ ইন্দ্রিয় আর পাঁচ আঙুলে
তোমাতে অভিমান পেঁচিয়ে
আমার কবিতার সৃষ্টি!
আচ্ছা মনে পড়ে?
রিকশাভ্রমণে এমনই এক ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির বৈকালে
ছাতাহীন ভিজেছিলাম দুজনা
এবড়োথেবড়ো রাস্তার ঝাঁকিতে দুলে গল্পের ঠোঙা খুলে!
হোক বৃষ্টি হোক অনাবৃষ্টি
ক্যাঙ্গারু দম্পতির বাচ্চা যেমন মা ক্যাঙ্গারুর শরীরের থলিতে নিরাপত্তায় ঘাপটি মেরে রয়,
একদা তোমার মুগ্ধ প্রেম
তেমনি আমার কবিতার থলিতে গুটিসুটি মেরে রইতো!
অরুন্ধতী রহমান...
তুমি ভালোবাসার মাইলফলক হয়ে গিয়েছো!
পাঁচবছর সমান পাঁচশত জাহাজের টানা বারান্দা পেরিয়েও
আমি ব্যতীত কোনো লাস্যময়ীর কেবিনে উঁকি দাওনি!
তাইতো ঠোঁটের রেহেলে
বিমুগ্ধ ভালোবাসা তুলে রেখেছি তোমাকে দিতে
পাড়ি দিয়ে তোমার পাঁচটা দুপুরের সরণি!
আচ্ছা সমুদ্র পাড়ি দিতে দিতে আজ কী তুমি ভীষণ ক্লান্ত?
হাঁটতে হাঁটতে আমিওতো ক্লান্তির সমীপে।
উড়িউড়ি দৃষ্টিতে সামুদ্রিক আলবাট্রস পাখির
উড়ে চলা দেখতে দেখতে,
স্বপ্ন দেখি জীবিকার পেছনে ছোটা বাদ দিবো
একদিন দুজন দুজনাকে লয়ে সংসার পাতবো
সভ্যতার বাইরে অনাবিষ্কৃত কোনো দ্বীপে!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।