অরুন্ধতী রহমান (১১)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

যাযাবর হয়েছি সেদিন থেকেই,
যেদিন ভরদুপুরে পালকির সোনালী পর্দার ফাঁক গলে আকাশরঙা কাগজের পাখি হয়ে উড়াল দিই...
যেখানে লজ্জাবতীর ডালে বৌ-কথা-কও পাখি উড়ে এসে বসে
যেখানে বৃষ্টি এলে স্নান করতে করতে কাকগুলো সব "কা... কা..." রব থামিয়ে বৃষ্টি গিলে গোগ্রাসে!
বেনীআসহকলা বুকে মেখে আকাশপথ পাড়ি দিয়ে হাজির হয়েছিলাম তোমার বাড়ির ছাদে,
অরুন্ধতী রহমান।
ততক্ষণে হঠাৎ বৃষ্টির ষড়যন্ত্রে আমার কাগুজি পালক ছিঁড়েখুড়ে একসা,
আমাকে মিলিয়ে যেতে হলো হতচ্ছাড়া বৃষ্টির ফাঁদে!
তোমাকে দেখতে পেলামনা সেদিন
তোমাকে দেখতে পেলামনা পরবর্তী প্রভাতে
তোমাকে দেখতে পেলাম তেজপাতা রঙা সুগন্ধি শাড়ির পরী হয়ে উড়াল দেবার যুগান্তকারী রাতে....
অরুন্ধতী রহমান।
ছাদের ওপরেই পাটি বিছিয়ে ঘুমিয়ে ছিলে, বেড়ালের চোখের মণি রঙা পাঞ্জাবি গায়ে।
জানিনা আমার সুবাসে নাকি রিনিঝিনি চুড়ির ঝংকৃত কবিতায় তুমি জেগে উঠে ঘুমজড়ানো কন্ঠে বললে...
"অর্ধেক মানুষী তুমি অর্ধেক অশরীরি!
তবু ভয় নেই, তুমি যে জোৎস্না ডাঙায় ভালোবাসার ঢেউ আঁকো ছলাৎছলাৎ কবিতার লহরী!"
তারপরের গল্প ছিল আমার সোনালী ডানা জোড়া খুলে নিতে তোমার জাদুকরি মায়ার ছলাকলায়!
অরুন্ধতী রহমান
আমি পরীত্বের মোহবিষ্টতা তোমার চোখের জলে সমর্পণে সেদিন থেকেই সাধারণ মানুষী!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।