অরুন্ধতী রহমান ( ১৩)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

আনারস পাতার মতন কাঁটা কাঁটা চাহনি তার,
চোখের মনিটা বাদামি মার্বেল পাথরের মতন।
সে যন্ত্রমানব নয়...
আমি মরিচীকা নই...
তবু হাত বাড়িয়েও হাত ফিরিয়ে নিই অভিমানে।
আমার আকাশে মরিচা রঙা মেঘ জমেছে,
দেখতে পাচ্ছে কি অরুন্ধতী রহমান?
চড়ুই রঙা পাঞ্জাবি গায়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল সে...
আমি ছাতা ছাড়াই হাঁটছি তখন উল্টোপথে।
তারপর মুঠোফোনের পর্দায় বৃষ্টির চুম্বন,
কাদা দিয়ে পাজামার পায়ের কাছে শহুরে নকশাঙ্কন।
আমি চলি বাড়ির পথে,
তার ছায়া আমাকে অনুসরণ করেনা
আমার ঊশৃংখল আচরণ তাকে বিরক্ত করেনা।
আমার আকাশে অস্থিরতার বজ্রপাত ঘটছে প্রায়শঃই
দেখতে পায় কি অরুন্ধতী রহমান?
তবুও একদিন হাত বাড়াবো আবার,
অভিমানেরা মনের পাহাড়ী ঝরণায় কলকলিয়ে সমুদ্রে ছুটবে...
সমুদ্র মানেই তার অনাড়ম্বর অথচ গভীরতম অস্তিত্ব।
তার নাগাল পেলে আবার কী দরকার হারাবার!
সে মোহগ্রস্ত নয়...
আমি বিশেষ কেউ নই...
তবু আমাকে মুক্তো না ভাবুক, সামুদ্রিক লবণ ভেবেই
নিজ বুকের রক্তে মিশিয়ে রাখুক অরুন্ধতী রহমান!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

ImranAhmed
১৮-০৭-২০১৬ ০২:০৭ মিঃ

ভালো লাগল।