তারপর একদিন (৩)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

একদিন শীতের ভোর শুরুর আগে শেষ কান্নাটা কাঁদব,
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি আসবে আলসে কুয়াশার বুক ঝাঁঝরা করে।
গোলাপী জামরুল গাছটার শুকনো ডালে জড়িয়ে যাবে আমার পাঁচ সাতটি চুল।
একদিন শীত আসবে জলজ চোখে কারো বারান্দায় রাত জেগে বসে থাকার পর,
চোখের কোলের কালিটুকু নক্ষত্র পতনের সাক্ষী হয় ভোরের কবিতায় মিটমিটিয়ে হাসবে।
তোমাদের ঘুম ভাঙার আগেই হারিয়ে যাব,
হয়তো সেদিন আমার সত্যিকারি ডানা গজাবে
তবু উড়তে পারবনা বুঝি অনভ্যস্ততার কারণে!
মাখনের মতন রঙ ধরা সদ্যোজাত গোলাপটা
আমার দিকে বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিতে ব্যস্ত।
ক্লান্ত বোয়াল মাছের দাড়ির মতন নেতিয়ে পড়া ঘাসগুলোও তখন
আমাকে রুখতে পায়ের আঙুল পেঁচিয়ে ধরবে!
একদিন মাঘের বাতাসের তোড়ে সামুদ্রিক বাতিঘর দুলে ওঠার গোধূলি নামবে
দ্বীপের পর দ্বীপ চষে বেরিয়েও আমাকে আর খুঁজে পাবেনা তোমরা
কোথা থেকে যেন ভেসে আসে সামুদ্রিক চিংড়ির কাবাব তৈরীর গন্ধ...
তারপরই তোমরা ছুটে যাও উদরপূর্তির সন্ধানে।
আমি শুধু কচ্ছপের গতিতে একটু একটু করে মিশে যেতে থাকব বিশাল জলরাশির শ্বেতশুভ্র ঝিনুক রঙা ফেনায়।
সেদিন রাত নামার আগেভাগেই মাঘের অসহ্য ঠান্ডা হুড়মুড়িয়ে জেঁকে বসবে।
তোমাদের মাঝে কেউ কেউ তবুও ভুলে যাবে গলায় মাফলার জড়াতে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।