অরুন্ধতী রহমান (১৬)
- নওশীন শিকদার ২০-০৫-২০২৪

মখমলী সবুজ ঘাসের উষ্ণ গা ছোঁয়া উড়াল ফড়িংটা
তোমার অফিসের বাগানে রেখে এসছিলাম এক ভোরে।
তুমি আমার চলে যাওয়া দেখলেনা...
আমার ছুটে চলার পথে ওড়া ধূলোদের ফিসফিসানিকে পাত্তা দিলেনা
অরুন্ধতী রহমান!
শুধু ধ্যানমগ্ন হয়ে দেখলে রঙিন ফড়িংয়ের রঙহীন স্বচ্ছ পাখনা।
আমার কিশোরীবেলার অবাধ্য হাসি বর্তমানের পৃষ্ঠায় ঢলে পড়ে
এখন আর তোমার ধ্যান ভাঙায়না।
তুমি হয়ে উঠেছো এক নির্বাক আকাশ,
আর আমি হয়েছি হেমন্তের হুহু হাওয়া বওয়া রাতের শ্বাসপ্রশ্বাস!

বিকেলের রোদ পাখির বাসায় জিরিয়ে নেয়।
জল ছিঁটানো মেটেহাঁসের ডানায় অন্ধকারের ছাতা মেলে রাত নামে...
তারপর একদিন সেই ফড়িংটা হারিয়ে যায় কোথাও।
তুমি তখন পেস্তাবাদাম রঙা পাঞ্জাবি গায়ে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে ব্যস্ত
অরুন্ধতী রহমান।
ভাবছি একদিন চাঁদের আলো আঁচলে বেঁধে তোমার ঘুমন্ত চোখে ঢেলে দিয়ে হব প্রেমগ্রস্ত,
হতে চাইব তোমার বুকে ভালোবাসার তল্লাশি চালানো ডাকাতিয়া প্রেমের কোপ!
সেদিনও তুমি জানবেনা আমি এসছিলাম...
সেদিনও তুমি আমাকে খুঁজবে তোমার চোখের সীমানা টপকে চলে যাওয়া শেষে
পার্শ্ববর্তী নাফ নদীর ছলছল কিনারা ঘেঁষে!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।