বিভাজ্যতা ও হাতছানি
- আশরাফুল ইসলাম শিমুল - ইচ্ছেখুশী ২০-০৫-২০২৪

"আমার কবিতায় তার জন্ম হয়েছিলো
অবেলায় শেষ আবেদনে,
তখনো সে শিশিরের মতো ক্ষীণতর
উঁকি দেওয়া নবজাতকের মতো
একদিন দোলনায় দোল খেতে খেতে সে বড় হয়েছিলো
আমার কবিতায়,
সিগারেটের ধোঁয়ার মতো নেশা হয়ে এসেছিলো,
দিনের শুরু আর শেষ মেলেছিলো দিগন্তে ডানা
তখনো সে বহুদুরে
রক্তের গোধুলীতে রাঙ্গানো প্রহরে
তখনো সে ছিলো পূর্ণ ,অপূর্ণতার পাহাড় থেকে।

একদিন কবিতা শূন্যতার ওপারে দাড়িয়ে অজস্র শূন্যতায়
নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলো ,
কবিতায় এখনো তার জন্ম হয় কিন্তুু অপূর্ণতার দেয়ালে
মৃত শহরের মৃত প্রাচীরে শৈবালের নগ্ন শরীরে ,
হেঁটে চলে পাহাড়ের ঘোল ঘেঁষে আকাশের চুড়ায়
হঠাৎ খুঁজে পায় সমুদ্রের নোনাজলে ,
শতাব্দী বড় হয় বইয়ের মলাটে উইপোকার সংস্পর্শে
শিরা উপশিরায় ক্ষয়ে যায় অজস্র মৃত কবিতা,
এখনো মৃত কবিতা গুলো বিধ্বস্ত দেহ নিয়ে দাড়িয়ে আছে
শহরের ওপারে কনক্রিটের পুল পেড়িয়ে লোকালয়ে ,
সে এখন মৃত ,
কবিতা তার অস্তিত্ব হারিয়েছে ,হারিয়ে গেছে সে,
কবেকার হাতে ধরে সমুদ্রের নোনাজলে মিশে গেছে,
তবুও কিছু অতীত তাঁকে বাচিয়ে রেখেছে,
এখনো হাতছানি দিয়ে যায় কিছু নিরবতা,
হারিয়ে যাওয়া তবুও একটা বিভাজ্যতা । "

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।