একাত্তরের বীর
- শরিফুল ইসলাম ২০-০৫-২০২৪

বাংলার মাটিতে ঘুমিয়ে আছে একাত্তরের বীর জয়ের পতাকা উড়াতে তারা করেনি নত শীর। গুমরে মরেছে নয়টিমাসে বাংলার জন পথে রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি পাকবাহিনর হাতে। এখনো রয়েছে এমাটিতে শহিদের রক্তের গন্ধ বাংলার জননি ডেলেছে সন্তান মাতৃ ভুমির জন্য। যে সন্তান ছিল মায়ের কোলে আদোরের দোলাল পরীখার খাতে,স্বাধিনাতার তরে হয়েছে বেসামাল। আজ এই শহিদের স্মৃতী জেগে আছে জনতার উত্থানে মাঠে, ময়দানে, মিছিলে, সভায়, উদাত্ব আহ্বানে। অন্ধকার ভেঙে,মেঘ কেটে হয়েছে উজ্জল রোদ্দুর তোমরা আছো আমাদের মাঝে,নিয়েযাব দুর বহুদুর। আকাশে,বাতাশে,মাঠে,ময়দানে স্বপ্নের সবুজ ছোয়া মাটি ভালবাসি স্বপ্নের দিগন্ত যা তোমরা করেছো পরিপাটি। চাষী!যে ক্ষেতে কেটেছে ধান সেখানে তোমাদের কবর এখনও হাওয়ায় ভেসে ভেসে আশে তোমাদের সে খবর। মাটির জন্য প্রাণ দিয়েছে কত মানুষ কত যুগ ধরে রেখেছে মাটির মান কতবার কতযুদ্ধ করে। পাকজওয়ান তৃষা মেটায় বাংলা মায়ের ঘরে রক্ত তৃষার রাক্ষস,ভোজ করেছে এমায়ের ছেলে। প্রতিরাত কাঁদে চিৎকার তার সাহারার হাহাকার মায়ের বুক ফাটে মেয়ের বিলাপ জ্বলেপুড়ে অঙ্কার। বুকে বেদনার ঢেউ,নাই ঘুম,রাত পাহারার চোখ বাচাতে গেলেই হায়না টানবে,ভয়ে স্নেহ বলি হোক। অত্যাচারের ঝড় উঠেছে,বয়েছে কালো রক্তের বান বীরের হাতে পাকসেনারা ভেঙে চুরে হয়েছে খানখান। ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তে ভিজেছে বাংলা মায়ের বুক সন্তান হারা বেদনা বুকে নিয়ে ছিনিয়েছে বাংলার সুখ। বাংলার ইতিহাসে ওরা আজ প্রথম অধ্যায় পলিমাটি হয়েছে ওরা অবিরাম রক্তের বন্যায়। ওদের পতাকা ওড়ে পথে,ঘাটে,গ্রাম,নগর,বন্দরে মা চেয়ে আছে সংগ্রাম সেরে ওরা ফিরবে স্বপ্নময় ঘরে।
------------------
চৌগাছা২০৷০১৷২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।