সন্ধাবালা -২
- আমিনুল ইসলাম ১৮-০৫-২০২৪

একটা পোউশের ঝড় পেরিয়ে
সন্ধাবালা এসেছিলো,
ঘাসফড়িঙের পাল তাড়িয়ে
দু'গাল ভরে হেসেছিলো!
.
আমি তখন উজান মাঠে
রাখাল হয়ে গরু চড়াই,
শালুক গাঁথা মাটি ছেঁদে
টেংরা, বাইনের সাথে লড়াই।
সেই বিকেলে সন্ধাবালা
এসেছিল শাপলা হাটে,
পঞ্চরাতের চাঁদ দেখিলাম
পা ডুবানো ঝিঁলের ঘাটে!
.
এমনি একা সন্ধা ডুবে
নিশি ঝিঁঝিঁর ক্লান্তি শেষে,
সন্ধাবালা আমার হলো
শ্রাবণ ভেজা পরীর বেশে!
আমার ক্লেশের দিন ফুরিয়ে
সন্ধাবালা আমার ঘরে,
ঘুণপোকাদের সদাই দিয়ে
আমার ভিটেয় আলো পড়ে।
.
অগ্রাহায়নের ধানের মাঠে
শেওলা বাঁশের পুকুর ঘাটে,
ভাব জমাতো সন্ধাবালা
সন্ধাচাঁদের ফুল্কি মেয়ে,
সুখগুলি সব পালকি হত
জোড় শালিকের হাসির মত
আমি তখন রাখাল রাজা
এমন আস্ত চাঁদটা পেয়ে!
.
এইতো,
ক'মাস হলো বুক ছেঁদিয়ে
অভিমানের ঝড় বেঁধিয়ে
সন্ধাবালা আঁধার হলো
সবটা ফাগুন সাথে লয়ে,
আমার নীড়ের ঘুণপোকারা
আহ্লাদেতে আত্মহারা
মরচে পড়া সুখগুলি সব
ধুকছে ভারী শ্রান্ত হয়ে!
.
আমি এখন পিতল জলে
কংশ পাড়ের বাকের মাঝি,
ছই তোলা নায় ওপার করি
জোয়ান-বুড়ো, কনে-কাজি!
রাত থেমে যায় শীতল জলে
চাঁদটা সাঁতরে গাঙের তলে।
চোখের ঠোঁটে মুচকি হেসে
রাত খেচরের মতো বাঁচি,
সন্ধাবালা ভাল থেকো
আমি অনেক ভাল আছি!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।