ভিট্রিয়াস হিউমারের ক্লান্ত ভালবাসা
- আমিনুল ইসলাম ১৮-০৫-২০২৪

একটা স্বপ্নের হাত ধরেই তোমার
চোখে চোখ পড়েছিল!
এমন রসালো চোখ জোড়ার প্রেমে না
পড়লে
হইতো খুব অপরাধই হয়ে যেতো!
.
হুম সেই দিন সেই কাজলা চোখের প্রেমে
আমাকে পড়তেই হইছিলো!
সেই দিন তোমার অনুমতিহীন চোখের
অ্যাকুয়াস হিউমারে ভাসিয়ে
দিয়েছিলাম
এক অণু বিশুদ্ধ ভালবাসা!
.
তোমার কাজল মাখানো অক্ষিপক্ষে
মুহুর্তেই
নিঃশব্দ কপাট পড়েছিল!
নেত্রপল্লবের উষ্ণ ছোঁয়াতেই আমার
ভালবাসা
প্রথম বেগ পেয়েছিল!
.
কনজাংক্টিভা, স্ক্লেরা ভেদ করে
কর্নিয়াতেই
আমার ভালবাসার প্রথম ধাক্কা খাওয়া!
তখনো পিউপিল খানিক দূরের পথ!
.
তোমার ঘৃণা ভরা চোখে ঐদিন হঠাৎই
মায়ার প্রদ্বীপ জ্বলে উঠেছিল বলেই
হইতো
আমার নিষ্পাপ ভালোবাসাটার
পিউপিলে প্রবেশের অনুমতি মিলেছিল!
আমি খুব ভীত ছিলাম!
হইতো তোমার লেন্স ভালোবাসাটাকে
ফিরিয়ে দিবে!
.
কিন্তু না, তা আর হইনি!
আমার ভালবাসা এতোটাই শক্তিশালী
ছিল যে
তোমার লেন্স তা প্রতিফলিত করতে
পারেনি!
বরং ভালবাসা এটাকে বৈষম্যভেদ্য পর্দা
বানিয়ে
একরকম প্রতিসরিত হয়েই চলে গেলো!
.
কিন্ত হায়! এতো ভিট্রিয়াস হিউমারের
মহাসাগর!
রেটিনা, ফোবিয়া সেন্ট্রালিস, অপটিক
স্নায়ু
ঠিক সাগরের ওপারে!!
এমন বিবস্ত্র, ক্লান্ত ভালবাসার এই
মহাসাগর
পাড়ি দেওয়ার সাধ্য কতটুকু আছে বলো?
.
বিশ্বাস করো মানবি,
তোমার ভালবাসা না পেলে এই
ভিট্রিয়াস হিউমারেই
হইতো
আমার সলিল সমাধি হবে!!!
.
যদি পারো তবে তোমার সিলিয়ারি
পেশি দিয়ে
সিলিয়ারি বডির সাথে এই বিশুদ্ধ
ভালবাসাটাকে
আলতো করে গিঁট দিয়ে রাখো!
সুযোগ পেলে নিজ থেকেই একদিন
আকুয়াস হিউমারের সাথে বেরিয়ে
আসবো!!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।