চেতনার কক্ষপথে এলোমেলো এই আমি
- নওশীন শিকদার ১৯-০৫-২০২৪
আমার চোখের জলাশয়ে বৈঠক বসায় দুঃখ পাখির ঝাঁক!
আকাশের নীল কে চুমে দূর পাহাড়ীর সবুজ গালিচায় আজ সপ্তর্ষী সুখের বাঁক।
আজকাল প্রায়শই জমাটবাঁধা কষ্টবিলাসে গুমড়ে ওঠছে মন!
কেন যে অভিমানের নদীর তীরে না বলা কথার অরুণোদয় দেখার এতশত আয়োজন...
কেন যে বুকের করিডোর ভিজে একাকার
বিষাদনীলিমার বরষা ঝাপটায়...
বারেবার কেন ভুলে যাই দূরত্বের বাস্তবিক বিভাজন!
ঝুমুর ঝুমুর হাসির আলোড়ন ফেলে আসা সময়ের নৃত্যাঙ্গনে হারিয়ে ফেলি।
তারপরও অবসন্ন ঘুম-স্বপ্নে আসন্ন পৌষের টুপটাপ শিশিরের গিটার বাঁজে!
মাঝপথে হারাই মহাকাশের চিত্রকলায়,খুঁজতে গিয়ে কারো নৈকট্যের অশ্রু জলকেলি।
এখনও আশ্চর্য হয়ে দেখছি...
নীহারিকা আর ধূমকেতুর গ্যালারি জুড়েও
আজ আমার কাব্য কবিতার অন্তরন।
অন্ধকারের খাঁদে পড়ে অন্ধ আমার জাগরণ!
জানি সেই প্রিয়মুখ আজ ঝাপসা থেকে ঝাপসাতর, আমার চোখের বেড়িবাঁধের নিঃসঙ্গতাতেই।
তবুওতো কৃষ্ণগহ্বরের আঁধার পেরিয়ে...
কৃষ্ণচূড়ার শহরেও পেলাম প্রেমের নিমন্ত্রণ।
আমি সব ফেলে ঝরা বকুল-সুবাস ভেজা সাঁঝ একাকীত্বের মোহর গুনে কাটিয়ে দিই।
কখনও ছম ছমে আঁধারের এলো খোঁপায়
জোছনার পালক গুঁজে দেয় প্রিয় সখী চাঁদ।
জোনাকির আলোকবর্তিতাও পাতে দৃষ্টি হরণের মায়াবী ফাঁদ!
আর,আমার কানের ঝুমকায়...
তারাজ্বলা রাতগুলো প্রায়শঃই অঙ্গার হয়ে ঝলসে ওঠে।
হয়তো অশ্রু বাষ্পের অণু-পরমানু
গুটিগুটি পদক্ষেপে ভাষা খুঁজে ফেরে আমার মহুয়া ঠোঁটে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।