প্রেমিক পুরুষ
- শেখ ফরহাদ হোসেন ১৯-০৫-২০২৪

স্বর্গীয় দেবী একদিন প্রেমী বেশে এসেছিল মর্ত্যলোকের এক কোণে,
আমার এই তৃষিত চোখের পানে চেয়ে-
থেকে নিবেদন করেছিল জাগতিক প্রেমের।
সেদিন এই আত্মভোলা ধ্বংসাভিমুখি অন্তর জেগে উঠেছিল প্রেমের আহবানে;
সঙ্খধ্বনী বেজে উঠেছিল অন্তস্থলে।
দেবীর জাগ্রত রক্তিম উষ্ঠাদেশে প্রেমের নেশা ছিল।
অষ্টাদশির পূর্ণ যৌবন পেয়ালায় সাজিয়ে এনেছিল অনন্ত জীবনীশক্তি।
দেহের শিরায় উপশিরায় আমাদের উষ্ণতার পারদ প্রবাহিত হয়েছিল।
দেবীর পেলব ঠোঁটের সুধা অনবরত আমার মুখে ঠোঁটে বর্ষিত হতে থাকল।
আমাদের দুজনার স্বপ্ন এক,গল্প এক, দেহ এক, চিত্ত এক হয়ে-
ভুলে গিয়েছিলাম নীরবে নেমে আসা সাঁঝের কথা,
ভুলে গিয়েছিলাম কামনার নেশায় জেগে থাকা দেহে জোছনা খেলা করেছিল।
আমাদের অলখ্যে আকাশের হৃদয় জুড়ে জ্বলে উঠেছিল জোনাকির মতো কোটি তারা।
কাম দেবীর আহবানে স্তনে স্তন মিলিয়ে তখনও দিশেহারা।
ভুলে গিয়েছিলাম কোথাও বাঁশঝাঁড়ে পেঁচার দল অন্ন আহরণে বেরিয়েছিল।
কোথাকার একটা ইঁদুর এসে দেখে গিয়েছিল আমাদের আদিম উম্মাদনা এক পলকে-
অন্ধকারে গাঁ ঢাকা দেয়ার আগে।
আমাদের যেই খেলা শুরু হয়েছিল মানুষ নামের ঘুমন্ত প্রাণীর অজান্তে -
সে খেলার শেষভাগে উষ্ণতার ধার কমে শ্রান্ত দেহে দুজনে লেপ্টে থেকে আগামীর স্বপ্নে বিভোর ছিলাম।
হয়তো তখনও রাতের ক্রিয়দাংশ বাকী ছিলো,
সেই বাকী স্বপ্নের সঙ্গে বাকী জীবন একাকার হয়ে এক স্মৃতির বাক্সে বন্দি করে-
অসম্পূর্ণ জীবনী সঙ্গীত গেয়ে চলেছি।
আমি মানব দৃষ্টি সম্পূর্ণ
তবু অন্ধ প্রেমের কবলে পড়ে সসীম জীবনের মানে খুঁজে ফিরি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।