শ্রেষ্ঠ চলচিত্র
- শেখ ফরহাদ হোসেন ১৯-০৫-২০২৪

কুয়াশার ক্ষীরের মতো জমাট আঁধার;
হেমন্তের এই রাতের নিশ্বাসে শিশিরের খেলা,
ঝুপরি ঘরের অন্তর চীরে নাবে শীত যে আবার।

চোখে ক্লান্তির অবসাদ;
ক্ষুধার্ত দেহে নেশার ঘোরের মতো পড়ে থেকে-
প্রকৃতির অত্যাচার বুক পেতে নিয়ে অসার হয়ে পড়ে থাকে।

শব্দ ভালোবেসে
পথিকের পায়ের শব্দ,নেড়ি কুকুরটার একাকীত্বের আর্তনাদের শব্দ।
বুকের ভিতরে বারংবার জ্বাল হয়ে খেজুরের গুড়ের মতো জমা থাকে ক্ষোভ।

আস্থার আস্তাকুড়ে নিশ্বাস থেমে গেছে যাদের,
শীতের ঝরাপাতার মতো অবহেলিত,বাতাসে উড়ে উড়ে যাদের প্রাণশক্তি সমাপ্তির পথে।

গল্পকার,কবি'র কলমে যারা বারবার ফিরে আসে মানুষের রূপে।
চিত্রকরের আলোকচিত্রে যাদের জীবনের অবশিষ্ট অংশের মূল্য চড়া।

আজ এই হেমন্তের গাড়ো অন্ধকারে
প্রিয়তমার বুকের উপর থেকে মাথাটা সরিয়ে নিয়ে পথে নেমে দেখো,
কতখানি কবি হলে প্রিয়,কতখানি হলে জননেতা, কতখানি হলে চিত্রকর।

তারচে বরং মানুষ হই প্রিয়
মনে যতটুকু আঁঘাত পেলে কাব্য রচনা হয়,
আমি মানুষের দ্বারে ঘুরে জেনেছি
তারচে ঢের বেশি যন্ত্রণা বুকে পুষে মানুষ হতে হয়।

বর্ষা ধারার গান শুনে শব্দরা যখন তোমার ভিতরে আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠে,
ঝুপরি ঘরের কোণায় তখন কিছু হতভাগ্য মানুষের জীবন শ্রষ্টার নাম ধরে বিলাপ জপে।

অতিথী পাখিদের মতো ক্যামেরা বন্দি হয় জীবন।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পত্রিকার হেডলাইন।
একটার পর একটা প্রতিশ্রুতির বানী টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো হয়।
জনসভার ভাষনে মুখের কথায় ঘুঁচানো হয় মানুষের সমস্ত দুঃখ কষ্ট।

দিন বদলায় তার নিজস্ব গতীতে,
রাজপথে নতুন মডেলের গাড়ি নামে।
উঁচু ভবন, শপিংমল তৈরি হয়।
আকাশ ছোয়া মিনার,গম্বুজ তৈরি হয়।

কেবল বদলায় না হতভাগ্য গরীব-দুখীর জীবন।
শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষার চিরদিনের সঙ্গী-- ঝুপরি ঘরের মানুষ গুলোর নির্বাসন হয় না।
এমন হেমন্তের রাতে প্রিয়তমা চলো শ্রেষ্ঠ চালচিত্র দেখে আসি।
ভালোবাসা শিখতে চাইলে চলো
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সিনেমা দেখি।
জীবন সিনেমা দেখি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।