ঐশ্বর্য, তুই বেঁঁচে থাক হেসে
- মিনু গরেট্টী কোড়াইয়া (বৃষ্টিরানী) - বৃষ্টিকাব্য (দুই) ১৯-০৫-২০২৪

লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত ঐশ্বর্য রায়ের জন্য
আমার আজকের লেখা কিছু শব্দ।।।
** ঐশ্বর্য, তুই বেঁঁচে থাক হেসে **
ঐশ্বর্য্য, তোর সহপাঠিরা আজ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে
তোকে যেতে দেবেনা কবরে কিছুতেই ধরে রাখবে বলে ;
ভাবি, ওদের কিই বা এমন ক্ষমতা, তোর জীবন বাঁঁচায়
তুই থাকবি? নাকি ভেসেই যাবি, ওদের চোখের জলে !!

কোথা থেকো ছুটে এলো সেই মরণের কালো অন্ধকার
ছেয়ে গেল তোর সারা শরীরে, ছাড়বেনা বুঝি সহজে ;
ফুলের মত সবটুকু হাসি ম্লান হয়েছে চাঁঁদ ডোবা অন্ধকারে
ব্যথার নীল রক্ত ছড়িয়েছে তোর শরীরের ভাজে ভাজে ।।

অর্থ বিত্ত যা কিছু ছিল সংসারের সব অস্ত্র দিয়েছে তোকে
এই ছোট্ট জীবনে আর ভয় পাসনে বাঁঁচার যুদ্ধে লড়তে
পথে পথে শত বাঁঁধা পাহাড় সমান, শুনবি মেঘের ভারি গর্জন
আজ লক্ষ ঐশ্বর্য দাঁঁড়াল পাশে পারবি তো মৃত্যুকে হারাতে ??

তোর জন্য অকালে বাদল ঝরে, বয়ে যায় অশ্রু বন্যায়
ঘুমঘুম আঁঁখিতে রাত জাগা পাখি ভুলে যায় ভোরের গান
সোহরাওর্দীর সবুজ চত্বর ছেয়ে যায় শুকনো ঝরাপাতায়
ওরা প্রতিজ্ঞা করেছে, যে কোন মূল্যে বাঁঁচাবে তোর প্রাণ ।।

তোর নাম ধরে চিৎকার করে, ঘুরে বেড়ায় শকুনের দল
ভয়ে আঁঁতকে উঠে স্বজনের প্রান, দু'হাত তুলে আকাশে
তোর প্রাণ ভিক্ষা চায় বৃদ্ধা, নিজের জীবনের বিনিময়ে
ঐ আকাশটিও চায় প্রতিদিন তোর মুখে সূর্য উঠুক হেসে ।।

তোর জন্য আমার কিছু নেই, আছে শুধু প্রতিবাদি কিছু শব্দ
তাই আজ পাথর করে ছুড়ে দিলাম তোর ব্যথা ভরা শয্যায়
মৃত্যু যতই আসুক তোর দ্বার প্রান্তে, ফিরে যাবে নিশ্চিত
তুই হাজার দিন বেঁঁচে থাক হেসে, সকলের ভালবাসায় ।।

সেদিন বইমেলায় গিয়ে দেখলাম ওর সহপাঠিরা ছবি হাতে সকলের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চাইছে চিকিৎকার জন্য। আমি আর কিই বা করতে পারতাম, তাই একটু লিখলাম যেন সকলে ওর জন্য প্রার্থনা করেন। সকলের প্রার্থনায় ঐশ্বর্য সুস্থ হয়ে উঠুক।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।