সেই ধূলিঝড়
- নওশীন শিকদার ১৯-০৫-২০২৪

বৈকালিক সন্ধ্যার হঠাৎ ধূলিঝড়ে
ছিলাম আমি একা, এই শহরের ব্যস্ত রাস্তায়।
এক পলকে ঠান্ডা মেঘের ছায়া এলিয়ে পড়েছিল পুরো নগরটায়।
আমার চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়েছিল সেই ঝড়...
যেই ঝড় শুষে নিয়েছিল আমার চোখের জল,আমাকে করেনি পর!
খেলার মাঠের বালিগুলো কুন্ডলী পাকিয়ে শূন্য উঠে আবার আছড়ে পড়ছিল পাশের রাস্তাঘাট - দূরদূরান্তে।
ধূলিঝড়ের আবেগ যেন ঝগড়াটে পাখির মতন খেলছিল আমার ওড়নার দুই প্রান্তে!
রাস্তার পাশে পত্রিকা নিয়ে বসা হকার ভীত মনে প্লাস্টিক শীট দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল সমস্ত নতুন আনকোরা গন্ধে গর্বিত পেপার পত্রিকা।
ফুলের দোকানে সুসজ্জিত ফুলের বুকেটগুলোয় লেগেছিল ধূলোভরা বাতাসের তড়িৎ ঝটকা!
আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি সেই ধূলিঝড়,দেখেছি কেমন করে ঝড়ের দমকে বিকেলের সাতকাহন পাল্টে গিয়েছিল।
ধূলোর কনাগুলো আমার চোখের ভেতরকার আর্দ্র ঘরে ঢুকে ঘুমোবার চেষ্টায় কেমন করে মত্ত ছিল!

সেই ধূলিঝড় পেরিয়ে গিয়েছিলাম বান্ধবীর বাড়ি বহুদিন পর।
অথচ ওর ঘরে পা দিয়েই দেখলাম কান্নাকাটির ঝড়!
শুনলাম ওর মা আইসিইউতে, ব্রেইনস্টোক করেছিলেন!
মেয়েটা আমার বুকে আঁছড়ে পড়ল কাঁদতে কাঁদতে!
কেমন করেই আর শান্তনা দেব আমার বান্ধবীটাকে।
শুধু প্রার্থনা বুকে ফিরে এলাম অস্থির মনে নিজ ঘরে।
মহান সৃষ্টিকর্তা যেন সেই মা কে ফিরিয়ে দেন তার সন্তানের বুকে,আবার যেন একটা ঘর হাসি-আলোক-ভালোবাসায় পুনঃপুন ওঠে ভরে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।