এক আমি
- নওশীন শিকদার ১৯-০৫-২০২৪

আমি শকুন্তলা গাছের পুরোনো ডালে বাঁধা দোলনায় একলা কোনো বৃষ্টিধোয়া সকালে দুলেছি।
তবু শূন্য থেকে আকাশের ঝকঝকে নীল শিহরণ ছুঁতে চাইনি...
শুধু এক মুঠো রংধনু দিয়ে
আমার কবিতার ডায়েরির মলাট বাঁধতে চেয়েছি!

আমার কিশোরী পায়ের নূপুর সোনারগাঁয়ের দিঘীর জলে ভিজেছে কোন এক বনভোজনের ভরদুপুরে।
রূপসী ডানায় রৌদ্র জমাট মাছরাঙা হতে চাইনি আমি,
চেয়েছিলাম কিছু সোনালী - সবুজ অনুভূতির বৃষ্টি-ঝাপটা ছলকে ফেলতে
কারো নয়নের জমিনে থমকে থাকা প্রেমের ঝড়ে!
কলেজের পুকুর-জলে আনমনে ডোবানো আমার পায়ের কাছে ছোট ছোট চঞ্চল মাছের ঝাঁকের তড়িৎ স্পর্শ পেয়েছি।
চাইনিতো হিজলের হালকা হলুদ পাতা হয়ে সেই পুকুরের ঠান্ডা জলে মৃদু আবেগে ভেসে রইতে...
শুধু চেয়েছি লাল পাথরে বাঁধানো সিমেন্টের বেঞ্চটায় বসে পুকুরে ঘন ঘন ঝরে পরা পাতার দৃশ্য দেখতে।
এই শহরেরই স্টেশনের প্লাটফর্মে রেললাইনের ধারে শূন্যতা বুকে হেঁটেছিলাম আমি একদিন।
চাইনি কারো আঙুলের স্পর্শ আমার অনাঘ্রাতা হাতের আঙুল বাড়িয়ে।
আমিতো ধীর পায়েই ফিরে এসেছিলাম প্লাটফর্ম ছেড়ে
রৌদ্রের আঁচে উত্তপ্ত এই ঠোঁটে রহস্যময়ী হাসি মুড়িয়ে,
শেষ বিকেলের সেই ট্রেনের শব্দ পায়ে মাড়িয়ে!

আমার কৃষ্ণচূড়া ঢাকা সন্ধ্যার কান্নায় কাঁচের টুকরো বেঁধার সুখ ছিল একসময়।
চাইনি তবু বহুদূরের সমুদ্রছোঁয়া বাতাসের মায়া - আলিঙ্গন...
আমি শুধু চেয়েছি আমার তরমুজ রঙা শাড়ির আঁচল অগোছালো করা বাতাসে ঘুড়ি ওড়ানো প্রশান্ত একটা বিকেলের হঠাৎ আগমন!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।