আগমন
- আজহারুল ইসলাম সোহাগ ১৯-০৫-২০২৪

পৃথিবীটা কেন যেন করছিল হাহাকার আরবের মরু বালুকায় ভরে গেল পাপাচার! হঠাৎ সকালে যেন মৃধু বায়ু বয়, আরবের বালুকণা কার কথা কই? ধরণীর কোল উজার করিয়া আয়ল মোহাম্মদ; প্রভাতে উঠিয়া যেন এ ধরণী, পান করিল শীতল পানি। ছ’মাস পূর্বে হারায়ে বাবাকে, মা বিদায় নিল অর্ধ যুগ পরে। একা যেন এতিম হয়ে রয়ল পরে। বালকেরা খেলা করে আনন্দ ফুর্তিতে তিনি গিয়ে ভাবেন ঐ দূর পর্বতে। পৃথিবী, গ্রহ, তারা, চাঁদ, সূর্য, আকাশ; সৃজিল কে সুন্দর করিয়া নির্মল বতাস। তার বিশ্বাস গুনে পাইল সর্ব জনের তরে; আল-আমিন। যৌবন এসে গেল দেখেছে কত পাপাচার, ভাবে মানবের দু:খ বেদনা, হবেনা বিরাম গিয়ে ঐ পর্বত হেরায়। হঠাৎ একদিন এসে গেল ভারি বাণী; যা খোঁজতে ছিল জনম ভর। দেখিয়ে দিল খোদা সে পথ তারে, এ পথে চলিবে যে জন, রয়বেনা ভয় তার কোন জনম ভর। ডাকিয়া নিমন্ত্রনে ঐ উপত্যকার প্রান্তরে; তাওহীদের দাওয়াত দিল সর্ব জনের তরে। কাফের বেদওয়িন কিছু আনিল ইমান, অনেকেই করিল তা প্রত্যাক্ষাণ!! যুদ্ধ করিল, রক্ত তাজা প্রান দিল উজার করিয়া। তাদের নাম লেখিল শহীদি খাতা দিয়া। যুদ্ধের পর যুদ্ধের বিজয় করিল তাজা রক্ত দিয়া। মক্কা বিজয় আসিল রক্ত নাহি দিয়া। মেরাজ থেকে আনিল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যে কায়েম করিবে শিখায়েছে যে ভাবে, নাহি পাবে লাজ বাঁচিবে যত দিন ভবে। বিদায় হজ্ব বেলা রেখে গেছে ইতি কথা, দু’টু রজ্জুকে ধরে তোমরা আকড়ে থাকবে যতক্ষণ, রজ্জুদ্বয় ছাড়বেনা তোমাদের ততক্ষণ। বিদায় বেলা ঘনিয়ে আসিল রয়বে কি কেহ এ ভবে? জীবন প্রান্ত বেলা বিদায় নিল, কাঁদিল সবে। গাবতলী নরসিংদী ১৭ চৈত্র, ১৪১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।