বিদায় ধ্বণি
- আজহারুল ইসলাম সোহাগ ১৯-০৫-২০২৪

বিদায় ধ্বণি বজি গেল ওগো সুদূর কালের বন্ধুরা; বিদায় নিবে একে একে সবে ছড়াবে তোরা বসুন্ধরা। বইছে খরা সবার মনে! হবে কি দেখা তার সনে? দক্ষিণা বায়, গায় লাগায়, বেড়াতুম আমি যাদের সাথে প্রিয় সখা মোর, ছিল যে সুদূর, মম এ আঁখি পাতে। কে যাবে কোন আকাশে থাকবনা মোরা শকাশে ভাবিতে নয়ান ফেটে ধারা বহে মৃতিকায় যেন জলধর, কত বাক-পেচালি করছি মোরা মিলে সমারোহ আধর। দেখিনি কারও বোলচাল মোরা সবাই ছিনু একতাল। সবার সাথে ভার করিতুম নাইকো ছিল বধা কত যে সময় পার করিতুম ছলে ছলে রঙ্গিন ধাধা। ঘোমটা পরা কনের মত ছিলাম নাত কেহ এত। বজ্রদে এগুত সবায় চৌদিকেতে আহাহা ধূলায় মলিন! ঐক্য ছিল সবার মনে জমত এসে বাণের পলিন। ক্ষয় ছিলনা কার প্রতি; সবায় দৃঢ় বন্ধু অতি। জানত নাত কেহ এমন কে যে ছিল মোদের পুরুত, মোরা সবায় সখা ছিলুম, ছিল মোদের একই সুরত। তরুর যত কিশলয় ছিলুম এত অতিশয়। তর্জন ছিল সম্মখে সবার, কোন ক্ষণ অনিতি হেরি; তেরিয়া হয়ে যেতুম তছনছ করে দিতুম ফেড়ে। নিরবধি ছিল নৌরোজ, কার কোথা হত ভোজ? এক সম’ আসি জড় হতুম মানব গুচ্ছ রাশি, একে অন্যে হয়ে যেতুম মোরা এ গাঁয়ের পরশি। স্মৃতি আজি মরিচীকা, ঢাকছে বয়ান কুহেলিকা। কোন আধরে কোন সুর যেন ধরতে হচ্ছে ভ্রম, কত যে স্মৃতির কাল পাড়েছি বিদ্যা শিক্ষার শ্রম। স্বপ্ন গোনে আপন আঁধারে, একা বসে কাষ্ট কেদারে। হাড়িয়ে যবে যাব মোরা আপন আপন বাটে; স্বরণে এসে নাড়বে কড়া ভুলা স্মৃতির পাঠে। সুখ পাবে না দু:খ পাবে ব্যকুলতায় থমকে যাবে। স্মৃতির ভেলা কেটে দেখা হত সে সখার সনে, কত যে শান্ত পেতুম আন হৃদয় গহীনে। ভাবিতে দেখা হয় যদি; জানিনে কেমনে আঁকিব। আঁকিতে যদি হয়ে যায় ওহে তোমায় পারা ; আড্ডায় মাতিব ফের গাব মোরা সেকেলে ছড়া। গাবতলী নরসিংদী ১ কার্তিক, ১৪১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।