শিকল ভাঙ্গার দীপ্ত
- আজহারুল ইসলাম সোহাগ ১৯-০৫-২০২৪

আমি এখনো মক্তিকামি, মুক্তি কবে পাব, মক্তি হল এ কেমন, পায়ে শিকল রয়েই গেল, ডান্ডা বেরির মত,.....চিনবি তবে মরব যবে, আমি যে তোদের ....মা............


শিকল ভাঙ্গার দীপ্ত শপথ আজ নিতে হবে মোদের
যাক নিপাত যাক আপন কায়া তবুও রুখব ওদের।
আপন ভরা উজার মনে যারা সাফায় গেয়ে যায়;
আমার মাকে লটপটিয়ে খাচ্ছে যারা, তাদের কেলায়।
আজ চৌদিকেতে ভেসে আসা উসৃংখল জীবন
ভাঙ্গার দীপ্ত শপথ এবে কর সাধারণ।
আদায়ের পথ সম্মুখ বড় ভয়ংকর !
তবুও অনতে হবে শৃংখল রবি জন্মায়ে অংকুর।
ভাংতে হবে প্রসাদ তাদের মহা অট্টালিকা ,
চুড়মার করে সবি তারা খাদ্য হবে পীপিলিকা।
কুরান চুমিতে চুমিতে রাজপথে সারে প্রভুর পূজা;
এত খেয়ালী, তার; কার চুমুতে হস্ত এখনো বেজা
বলিয়ে হস্থ ভাগ্য ‘পর রাখিলে আঁখি পাশ;
সে মাখা রং আজো তাদের ডাকছে সর্বনাশ।
সকাল বেলা বলিয়া বানি হয়েছি আমর,
সন্ধা বেলা নাই যে মনে কি বলেছি প্রহর।
আমি আমার পরিবারের মাতা মহাজন
অন্যরা সব যাকরে নিপাত জপি সারক্ষণ।
কাল বানু কালা আমার আমারি সখা
যতন করে বয়ছে মোদের উড়ায়ে পাখা।
বায়স, ঈগল, ঝনঝন তরবার,
হায়েনা থেকে বাঁচতে, কালা ফেলেছে নোঙ্গর,
রাস্থা ঘাটে মা বোনেরা, অচীন পাড়ার শেখ ফকির,
ভয়ে তারা হাল ছেড়েছে, ছাত্র সোনার ঘার অধির।
হল দখলে মস্ত তারা অশ্র হাতে ঝন ঝনাঝন!
চাপার জুড়ে বাচাল অতি, চলছে যেন ফন ফনাফন।
ছাত্রী সোনা আহা-হা লজ্জা হাড়া থু-থু-থু!
আমার বোনদের সম্ভম নিয়ে এমপি সেনা ধু-ধু-ধু।
যুবক সোনা, কৃষক সোনা, আরো সোনার প্রতি;
ঘৃণা আমার আকাশ সমান, তোমার কি আকুতি?
দেশটা আমার মাতৃ সমান, আমার মাকে যারা,
আদি সৃষ্টি থেকে খাচ্ছে, এ মায়েরই লোটরেরা।
যারা মায়ের আচল খোলে দেখায়, মীর জাফরের মত
তাদের ভাংতে হবে, ঘুরতে হবে, প্রকাশ্যে শত শত।
এ শিকল ভাংতে হবে, রুখতে হবে দিতে হবে ডাক,
মাকে দিব গইনা-ঘাটি, সোনায় মোড়া পোষাক।

রসুলবাগ মহাখালী
১২ জৈষ্ঠ ১৪১৮

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।