রণবীর
- আজহারুল ইসলাম সোহাগ ১৯-০৫-২০২৪

স্বাধীনতার পারম্ভে জন্ম লভিছে যে এ বঙ্গে, সখা ছিল তারা আধেক ডজন মিশিত কি রঙ্গে। ঐ ভজনালয় থেকে হাকিছে তারা বিজয় ঢঙ্কা! নব উদ্দামে চির আলয়ে যেতে নাহি আর শঙ্কা। দিকে দিকে আসিছে তারা দাড়ায়েছে চৌভিতে, অমর কাননে বাধিতে নিলয় পরিমলে মাতে। ধ্বনিতে আছে শাণিত তরবার যাকে তাকবীর বলে, থরথর সবি যত মীর জফর আছে ভুতলে। সাইফুল যবে হেরায় তার উলঙ্গতার প্রকাশ স্ফুলিঙ্গ ছিটায় চৌদিকে, এ রক্ততার বিকাশ। মনে কি প্রাণে অনন্ত হিয়া তলে জাগে তরবার পাপ পঙ্কিল, কলঙ্ক যত সবি পুড়ে ছাড়খার। বিলিয়ে দিতে কায়া, হের, কারও নাহি মায়া এরই মাঝে লোকিত আছে অনন্ত ছায়া। যেথা উল্লাস সাথে হুরপরি যা চিরন্ত বালা, ইহা তারই পাপ্য যে পরেছে তাকবীর মালা; কোথা অনিয়ম? যেথা রাজপথ, আছে সমাধান এ অন্তরূপ ঘটায়ে দেয় পলকে ব্যবধান। ছাড়ায়ে তারা, দাড়ায়ে আজ বিশ্বের বারান্দায়, নব যৌবন এসেছে ফিরে কানায় কানায়। পাড়িছে তারা দূর্গম পথ, পদে পদে ছিল শনি তাদের অসৃকে ভেসে গেছে দেখ মানবের গ্রানি। পৃথ্বির বুকে আমাদের এ শ্যামল মায়া বসুন্ধরা, লালে লাল হয়ে গেল দিলনা মানব মনে নড়া। সৃজিল কে, কিসের তরে, পাঠাল মোদের? জানা যে সবার, তবু কেন না মানার আছে নিজের? যুগ যুগ চলে গেল, গেয়ে তাকবির জয়গান আজো দাড়ায়ে তারা, সম্মুখে মহা সম্মান। মনে মনে সবার জয়গান, ভিরছে দলে দলে মানবের কলঙ্ক সব ওরা রাখবে পদতলে। মনে এলনা স্বাধীনতা, এসেছে সে বঙ্গে তাকবীর জয় হবে, মনে স্বাধীনতা মাখিবে রঙ্গে। পূর্বনাখাল পাড়া তেঁজগাও ৭ পৌষ, ১৪১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।