নৌবিহার ও আমি
- রফিকুল আলম - ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন ২০-০৫-২০২৪

নাইবা ডাকলে মোরে
আপন ভেবে নৌবিহারে
নাইবা নিলে সাথে
সর্পিল মাথাভাঙ্গার পথে পথে
নাইবা বললে কথা
আনন্দে ভাটা পড়বে ভেবে।
তবুও আমি মাছরাঙা পাখী হয়ে
নৌবিহারে ছিলাম তোমার সাথে
দেখেছি সেদিন তোমার বুকের আলমারিতে
চাপ চাপ জমাট বাঁধা রক্তের মত
জমে আছে অব্যক্ত ভালবাসার ব্যাথাগুলি
ফুটন্ত প্রেম মাথা কুটে মরছে
কোলাহলে জীবনের রক্তের বিনিময়ে।
তোমাকে দেখার মত চোখ নেই আমার
তবু আমি হৃদয় গভীরে টের পাই
তুমি আছ আমার সাথে।
নদীর জল অনেক বেড়েছে এখানে
বেড়েছে হঠাৎ উর্মির তোড় ভরা আশ্বিনে
ঘর বাড়ী সাঁকো ভেঙেছে অনেক
এখনো হয়নি গড়া হৃদয় তরণী ।
না যেও নাকো তুমি, কথা রাখো
যেও নাকো কোন দূরে
নদীর বাতাসের স্পর্শে মুখ রেখে
এখনো আশিনের খেয়ালী হাওয়ায়
ঘর বাড়ী সাঁকো ভাঙার সময় হয়নি শেষ।
জীবনের আস্বাদন নিয়ে জেগে আছো
তবুও মৃত্যুর ব্যাথা দিতে পারো তুমি
আশিনের ঝপটে ঝরবো যখন আমি
তোমার তুলসী তলায়
শিথানে ফুল ছিটিয়ে কি লাভ হবে
বৈজয়ন্তী যার শুকিয়ে গেল দ্বিধায় দ্বিধায়।
কোথাও পাবে নাকো দু’দন্ড শান্তি
মাথাভাঙ্গা পদ্মা যমুনা মেঘনার মোহনায়
একটু আনন্দ অন্বেষনে যেতে পারো সেথায়
বঙ্গোপসাগরে, ভূমধ্য সাগরে প্রশান্ত মহাসাগরে
দেখবে সূর্যটা গা এলিয়ে শুয়ে থাকবে
গোধুলীতে নীলিমার কোল ঘেঁষে ঘুমের স্বাদে
তুমি ভাববে আমাকে কাছে পেলে
নৌবিহারে মনের বিষন্নতা কাটিয়ে
অন্ততঃ প্রাণ খুলে কিছু কথা বলা যেত।
বিষন্নতা মুছে ফেল ঐ বিধু বদন থেকে
নাইবা বললে কথা নাইবা নিলে সাথে
আমি আমার হৃদয়ের ক্যানোতে করে
নিয়ে যাবো তোমায়
হিমালয়ের কাঞ্চন জঙ্ঘা থেকে শুরু করে
মালয়েশিয়ার ফ্রেজার হিল, গ্যান্টিং হাইল্যান্ড
পেট্রোনাসের চূড়া থেকে দেখবে
সবুজ পাহাড়ী প্রকৃতি।
ভরে যাবে হৃদয় অনাবিল আনন্দে।
কত বন্ধুর পথ পেরুবো একসাথে
দেখা হবে কত তমসার
কত আলোকিত দিনের
তবুও কোন ভাবেই ভিজবে না
তোমার বৈধব্যের অহংকারের বেশভূষা
ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা পুষ্পালি জমিন তোমার
স্থানচ্যুত হবেনা শুভ্র পর্বতের
খাঁজে পড়ে থাকা লকেটটি পর্যন্ত
কথা দিলাম, আমার সমস্ত হৃদয় বন্দর
তোমাকে বন্দোবস্ত দিলাম বিনা আবেদনে
বাধাহীন বিচরণের জন্য তোমার এক নিরাপদ শরণ।
নাইবা ডাকলে মোরে
নাইবা বললে কথা
নাইবা নিলে সাথে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।