কফিনের বায়না
- রফিকুল আলম - ভালোবাসার নিঃশব্দ কথন ২০-০৫-২০২৪

ছয় ইঞ্চি লম্বা আড়াই ইঞ্চি চওড়া
খান আষ্টেক কচ্ কচে কাগজ
যার বাস্তবতায় আমার ছিল স্বপ্নীল স্বপ্ন
আর প্রাণে সুখ সুখ অনুভূতি।
ওদের শরীরের চতুষ্কোণে লেখা ছিল
একের পর দুটো শূন্য
সামনে মসজিদের ছবি পিছনে লালকেল্লা
রাঙা জমিনে সাদা গোলটার অন্তরে
রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বহু হাত ফেরার আগেই আমি
তাদের এনে লুকিয়ে রেখেছিলাম
কোন বই এর অন্তরে
অথবা অন্য কোথাও হবে
আমার মা যেমন দস্যি ছেলের হাত এড়াতে
সঞ্চয় করে ঘরের খুঁটি কেটে।
ঈদের মাত্র ক’দিন বাঁকী
ছেলে মেয়ের নতুন বস্তর
নতুন শাড়ী দিয়ে বধুর মুখের
মধুর হাসি দেখবো ভেবে
সঞ্চিত কচকচে কাগজগুলি
বের করতে গিয়ে দেখি নেই !
নিঃশব্দ কান্নার ঢেউ বুকে চেপে
অনেক --- অনেক খুঁজলাম
কিন্তু পেলাম না।
আমি বুঝতে পারলাম না
কে ওদের ব্যবহার করলো খুশীমত।
নাকি আদৌতে ওগুলো ছিল আমার স্বপ্নে।
পারলাম না রাখতে
সবুজ কচিদের দেয়া প্রতিশ্রুতি।
ব্যাংকে যখন ক্যাশিয়ার
ঐ রকম কাগজ নাড়াচাড়া করে
তখন দেখে মনে হয় যেন
সব কাচা অচল কাগজ।
অনাহত শিশুদের কান্না দেখে মনে হয়
ঐ রক্ষিত কাগজগুলি হারায়নি
আমার মূল্যবান কফিনের জন্য
হয়তবা কেউ বায়না নিয়েছে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।