ধানের কবিতা
- আল আমিন মুহাম্মাদ ১৯-০৫-২০২৪

কাব্যগ্রন্থ: কষ্টের নিদারুণ সাক্ষী (অপ্রকাশিত)

ধানের কবিতা

– অাল আমিন মুহাম্মাদ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

কঁচি ধানের বাইল নাচে পরাণের খেতে ঐ,
কৃষকের কাদা-মাটির খাটনি গ্যালো কই?
মুখে নবান্নের স্বপ্ন ভাসে
বুকে সুখ কত আসে ।
এ খেতের ভরে ধরে সামনের বরো ধান,
রাজ্জাকের আকাশ নিয়ে অস্থির তাই প্রাণ
হয় কি রোদ-বৃষ্টি কাল
না খুলে যাবে কঁপাল।
এ শরত কাটে তীব্র চিন্তায় সবুজ ফসলের,
কাশফুল সাদা চুল য্যানো চিন্তায় কৃষকের।
গতবারের সেই ব্যাথা
এখনো ভুলিনি,কয় কথা-
হায়রে কি নির্দয় বৃষ্টি! বানের তলে সারামাঠ!
কেউ ভাবিনি বিন্দুও ভাঁংবে আকাশের কপাট,
কয়দিন চলে মহা খরা
চৌচির মাঠের খেতপাড়া,
আশ্বিনের দিনগুলি ছিলো মহা সংকটময়।
পহেলা কার্তিকের কিছু দিন কাটে সংশয়,
এ্যাকে এ্যাকে কাঁচা পাকে
এই খেত ওই খেত থেকে
কিষাণের চাহনিকে ফাঁকি মেরে মেরে সারামাঠ,
পরাণও হতে থাকে হালকা,হেসে ওঠে আকস্মাৎ।
আষাঢ় শ্রাবন ভাদ্র আশ্বিন
অভাবে কাটে কিষাণের দিন,
পাকা ধানে পোছ পড়ে তাই আনন্দে মুখে গান;
আকাশে বাতাসে ভাসে বহু প্রতিক্ষার সূঘ্রাণ।
কাজ আর কাজ মাঠে
লোক নেই হাটে-ঘাটে,
এবাড়ি ওবাড়ি পড়ে ধান মাড়ার মহাধুম
খাওয়া নেই নাওয়া নেই চোখে নেই ঘুম।
এ পাড়া ও পাড়া উৎসবে
নতুন ধানের কলরবে
গাঁয়ে গাঁয়ে জুড়ে আসে আনন্দ-ছেঁড়া বান,
ভূলে হিংসাবিভেদ পরস্পর হৃদয় মারে টান।
এ উৎসব বছর বছর
ভরে বাংলার প্রাণান্তর,
স্বচ্ছলতার জোয়ারে উপচে পড়ে দেশ-গ্রাম,
জীবনের হালখাতায় নতুন উদ্যমে লিখে নাম।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।