বিদ্যার ভার
- মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন - মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯-০৪-২০২৪

বিদ্যার ভার
+++++++++

কত শত পড়ে
বিদ্যা করেছি অর্জন।
তার পর এসেছে সার্টিফিকেট
এ প্লাস ধারী কারো মাইনাস।
কারো পুরেছে কপাল।।

এখন তো সবাই মেধাবী চরম।
মেধা আর সার্টিফিকেটে সব গরম
লোহা গরম থাকতেই হাতুড়ী পিটাতে হয়।
তার পর তেজ হারানোর ভয়।
কি যে কি বিপদ হয়।



বিদ্যার ভার ।
সইতে নাহি পারে আর।
সবকিছুতেই নিয়ম শুধু মুখস্থ করার


মুখস্থ বিদ্যা ।
সার্টিফিকেট দিল ।
দিল এক সম্মানীত উপাধি।


বিদ্যার ভার সইতে পারে না ।
ছাত্রটা তাই ধোয়া ছাড়ে আকাশে।
রাস্তার ধারে 'গলির মোরে দাঁড়িয়ে।
হালকা করে মন ও মগজ।
ধোয়া টানার কি প্রশান্তি।
এটাকে কেউ কেউ সুখটান বলে।



সুখ টানের সাথে চলে কবিতা আবৃতি
গান গাওয়া হয় প্রেমিকের মত।
রাস্তার বখাটে বলে ডাকে কেউ কেউ।


রাস্তাতে নারী 'কিশোরী হাঁটলে।
কেউ একটু কাছে এলে।
গান এসে সুর তুলে যুবকের গলে।
কত মধুর গান সুরবতী।
একটু শোনে যাও লক্ষী যুবতি।


এটাই মুখস্থ বিদ্যার মস্ত ভার।
তাতে আছে অনেক আধার।
ভার সইতে না পেরে।
হালকা হওয়ার চেষ্টা সবার।
কত টুকু পারি হালকা হতে?


পাঁচ বছরের বালক।
কাঁধে বই তার দশ কেজি।
বহন করে চলেছে সে ।
একটা ভারি সার্টিফিকেট পেতে
বলতে হবে সে হতে চায় ডাক্তার।
এটা হতেই হবে জীবনের চাওয়া।


মুখস্থ বিদ্যাধারী সমাজ।
ছাত্রদের শুধু একটাই কাজ।
শুধু পড়ে যাও।
কসাইয়ের মত ডাক্তার বানাও।
বুদ্ধিজীবী বানাও গরুর মত।
যত ঘাস আছে খাবে সে।
রং দেখতে তার মানা আছে।


বিদ্যার ভারে আমরাও ভারি।
বিদ্যার ভারে নত হয় না মাথা।
উঁচু হচ্ছে আরো
হচ্ছে আদবের কারবারি।
সবাই সার্টিফিকেটের বেপারি।



আমরা সুখ টানি ।
স্যার কি করে সবাই জানি।
চাকরি পেতে করতে হয় হয়রানি।
এসব বিদ্যার ভার।
ভারের কষ্টে দেখি আধার


যার মামা আছে ।
সে তো সুখে আছে।
এটা অঘোষিত ইতিহাস।
মামা নাই যার ।
জীবনে সুখ নাই তার
হল জীবনের সর্বনাশ।

যার মামা নাই।
তার সার্টিফিকেটে ওজন নাই।
তার বিদ্যার ভার নিতে হবে একাই।
করতে হবে যুদ্ধ ।
থাকতে হবে স্বপ্নে আবদ্ধ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।