বিষাদ
- সৈয়দা ইয়াসমীন ১৮-০৫-২০২৪

কাল চড়া দামে আনন্দ কিনতে গিয়েছিলাম পৃথিবী খ্যাত অরফেই গ্রুপের সার্কাসে আনন্দ তো দূরের কথা,ফিরে এলাম এক বুক বিষাদ নিয়ে,এক গাধা টাকা দিয়ে কেনা বিষাদ নিয়ে ফিরলাম ঘরে দশ বছরের বাচ্চা শিশুর চোখ ধাঁধানো এ কি খেলা!বিস্ময়ে থাকিয়ে রইলাম একটানা দুই ঘন্টা সবাই আনন্দে উল্লাসিত ছিলো আর আমার মন ছিলো বিষাদে ভরপূর আমার মনে কোনো আনন্দ এলো না আমি তার হৃদয়ের আর্তনাদ শুনছিলাম। হ্যাঁ আর্তনাদ,নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে কেউ অন্যকে আনন্দ দিতে খেলে না খেলে প্রয়োজনে,জীবিকার তাগিদে কোথা হতে কোথায় ছুটে চলে,কি না করে। একদল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে আনন্দোল্লাসে মেতে আরামে আয়াসে কাটিয়ে দেয় জীবন। আর এক দল রোদে শুকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গাঁধার মতো খাটুনি খেটে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে পরিবারের আহার নিয়ে। আর এক দল ঘর হীন ছাঁদহীন জীবিকার টানে আজ এখানে তো কাল ওখানে, বেঁচে থাকে চিরস্থায়ী যাযাবরের বেশে মানুষকে আনন্দ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। গাড়িতে খাওয়া,গাড়িতে ঘুম,গাড়িতেই সংসার। এ কেমন জীবন,অদ্ভূত জীবন!
তাঃ ০৬/০৪/২০২০ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।