Debapriyo Pal
- Debapriyo Pal ২০-০৫-২০২৪
সাফাই অভিযান
চারিদিকে রয়েছে কতো জঞ্জাল ছড়িয়ে,
সাফাই না করে করে দিচ্ছ তার বাড়িয়ে।
রোগজীবাণু ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাই,
ক্ষতি যে আমাদেরই হচ্ছে তার হুঁশ নাই!
বাড়ছে সংখ্যা মশামাছির;পাল্লা দিয়ে দুর্গন্ধ,
দেখছে সবাই,চাপছে নাক,তাও সাজবে অন্ধ।
আবর্জনা গুলো একটা কোনো ডাস্টবিনে ফেললেই হয়,
"ধুস্,অতো পারবোনা" বলে জানলা গলিয়েই ছয়।
এসব করে আর কতদিন চলবে?
ঘরের বাচ্চাটা অসুস্থ হলে তখন জ্ঞান ফিরবে!
সময় থাকতে সজাগ হলে নেই কোনো রিস্ক্,
বেশী কিছু নয়,মানতে হবে ছোট্টো কয়েকটা টিপস্ ।
ভাবের খোলা,পুরোনো কলসি,টব কিংবা রেফ্রিজারেটরে;
নোংরা যে জল জমে আছে তাতেই মশারা ডিম পাড়ে।
এক্ষুনি সে সব সাফ করো আর স্কচবাইট আনো কিনে;
চৌবাচ্চার দেওয়ালগুলো ঘষে দিয়ো কয়েকদিনে।
চোখে যদি পড়ে কোনো প্রতিবেশীর নোংরা ফেলার কুকীর্তি,
তক্ষুনি তাকে সজাগ কোরো,বুঝিয়ে বোলো তার ভুলটি।
প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করো,ফেলো না প্লাস্টিক নর্দমায়;
ওতে জলনিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে বর্ষায় জল জমায়।
বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানে যদি খাবার খাও থার্মোকলের প্লেটে,
রাস্তায় নয়,অবশ্যই সেগুলো ফেলতে হবে নির্দিষ্ট বাস্কেটে।
এরকমভাবে আমারা যদি সাফাই পর্ব চালাই,
রোগজীবাণুরা ভয়ে বলবে,"ওরে বাবারে!চল পালাই পালাই।"
এসো সবাই,হাত মিলিয়ে ছোট্টো একটা শপথ করি,
আমাদের আর আমাদের চারিদিক পরিচ্ছন্ন রেখে সুস্থ একটা সমাজ গড়ি।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।