অবসর বৈকাল
- সৌমেন কর্মকার সমাজ কবি ১৯-০৫-২০২৪

ছাতিমের ঘ্রান-বুনো চালতালতা পুকুরের পাড়ে,
বিকেলের এই রং-এ গাঙচিল পাখি ডানা ঝারে।
রূপে যেন মনে হয় আষাঢ়ের দিগন্ত-কালো মেঘ,
ফুলের রেণু চোখেমুখে দেয়-স্নিগ্ধ বাতাসের বেগ।
আমি দাড়িয়ে দেখি-ফাটা শ্যাওলা দেয়ালের গায়ে,
পিঁপড়ে চলে যায়-বিষণ্ণতা শালিকের হলুদ পায়ে।

ইটের কোণে গুগলির খোল-শামুক পড়ে চোখ বুজে,
জামের ছায়ায় গাভীরা মাঠের ঘাস খায় মুখ গুজে।
ঠং-ঠং শব্দ করে গরুর গাড়ি-কাঠের চাকা ঘষে-ঘষে,
ঝিঁঝিঁ-কুনো ব্যাঙ করমচা ঝোপের নীচে আছে বসে।
বেতের গাছ-বাঁশের ঝোপ-মাঠের ধারে খড়-বিচালি,
সবুজ ফড়িং ওড়ে-আম শাখায় খেলে কাঠবেড়ালি।

শৈশব খেলে দুরন্ত স্রোতে-পথের কুকুরগুলো কাঁদে,
পুকুর প্রান্তে মাছরাঙা বসে মাছ পাওয়ার আহ্লাদে।
খয়েরী পাতা ছড়ানো-শিমুল ডালে পায়রা-ঘুঘু পাখি,
লাল ফল বটের ভাঙা মাথার আকাশের চোখাচোখি।
মউরীর সরু ডালে প্রজাপতি-লাল বেগুনি তার ডানা,
ভোমরা মধু খেতে ব্যস্ত,গুবরে পোকার কষ্ট অজানা।

কচকচানি চড়ুইয়ের,সেইখানে কার্তিকের ধান তরুণ,
বেজি চুপিচুপি যায়-ক্ষীরুই গাছের অবস্থা কি করুণ।
শেষ হয় রোদ-হাঁসের পাল যায় প্যাঁক-প্যাঁক ডেকে,
নীল,শূণ্য মাঠে অন্ধকার জেগে ওঠে শালবন থেকে।
সর্ষের ক্ষেতে দেখি-গোধূলি ছড়ায় আকাশের নীলে,
দূরে আরো দূরে,তখন কেহ নেই ধানক্ষেতের আলে।

© সৌমেন কর্মকার

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।