হলুদ লেফালা-৩
- সুকন্যা তিশা - পত্রালিকা ২০-০৫-২০২৪

হে অনুরাগী,কেমন আছো জানতে চাইবো না ।
আজ শুধু নিজের কথা বলতেই লিখতে বসা।
তোমার সাথে অভিমানের খেলা সাঙ্গ হলো অবশেষে।
তীব্র সেই অভিমানে শুকিয়ে যাওয়া ঝড়া বকুলের ভালোবাসা নিও ।

জানো,বেশ কয়েকবার ধরেই টের পাচ্ছি
মন খারাপের মহা ঔষধ হচ্ছে মন উজার করে লেখা।
যেই না আমার আবোলতাবোল কথাগুলোতে
একটু প্রাণ দেই, ব্যাস! অমনি মন ভালো!
মনের কথাগুলো আর কেউ শুনুক বা শুনুক
প্রতিটি অক্ষর তা যত্ন করে শোনে।
কি আশ্চর্য তাই না ?কত ক্ষমতা ওই লেখার।
জানো,এটাও বুঝতে পারলাম-একজন লেখকের কষ্টের,প্রেমের ,
বিষাদের, কলঙ্কের, অনুপ্রেরণার সাক্ষর হচ্ছে তার লেখা ।

জেলের যেমন মাছ ধরাতে সুখ,শিল্পীর যেমন রংতুলিতে সুখ,
লেখকের সুখ তার লেখায়, সে সুখ একান্তই তার।
পাঠক সে সুখের স্ফুলিঙ্গের আঁচটুকু পায় মাত্র,
তাতে যদি কারো চিত্ত জ্বলে বা কারো আত্মা
বিমোহিত হয় তাতে লেখকের কিচ্ছু যায় আসে না ।
লেখক শুধু প্রসব বেদনা শেষে ভূমিষ্ঠ সন্তানের
মুখে চোখ রেখে তৃপ্তির হাসি দিয়েই সন্তোষ থাকে ।
আমার লেখার খাতা ,কলমের কালি, অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
যা আমাকে ঠিক সেই তৃপ্তি দেয়,পরিপূর্ণ করে পূর্ণপমা রূপে ।

দেরি করে হলেও সুখের সন্ধান আমি পেলাম,
অবশেষে পেলাম আমি তাকে ,তাকে পেলাম ।
যে আমায় এ সুখ দিলো আজকের পত্রখানা
বরং তাকেই উৎসর্গ করি,
তুমি রাগ করো না ,কেমন ? ইতি তোমার অভিমানী ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।