কালবেলা
- ইকবাল হোসেন বাল্মীকি - ধাতব নিদ্রায় কনাধারী ধুলির বাগান ১৯-০৫-২০২৪

না পাথর না বরুন
না অগ্নি না অরুন
কিচ্ছু ছিলাম না
এক মাত্র ইচ্ছা হয়েছিলাম।

পাথরের ভিতর নদী জাগে
প্রেম আগে হিংসা পরে
প্রেমের ভিতর রহস্য বৃক্ষ
বৃক্ষ জমা প্রানের পারানি
পারানি নিয়ে যুদ্ধে
যুদ্ধের ভেতর মানব জন্ম
মানুষের হাতে অশ্রু
অশ্রুতে গোপন হাসি।

না আলো না অন্ধকার
না আকার না নিরাকার
কিছুতে কিচ্ছু ছিলাম না
শুধু নিজেতে মগ্ন ছিলাম।

মগ্নতা আনন্দের ও বিষাদের
হাসিতে ফাঁসির দড়ি
দড়ির গিঁটে জীবনের রেস
রেসের ভেতর রসের অনু
অনুতে মৃত্যুর অণুচক্রিকা
মৃত্যুতে বিবর্তন ও শুদ্ধতা
সংক্ষেপ সফর অসীম যাত্রা।

না রূপে না গন্ধে
না ভালয় না মন্দে
কোন সন্ধেহ অথবা সুধায়
কোন কিছুতে ছিলাম না
আমি শুধু আমি-ই ছিলাম।

আমার মাঝে প্রশ্ন ও প্রেম
তুমি আমির সীমান্ত
পাগলামি ও প্রাচুর্যের বিরোধ
সুন্দর্য ও সম্ভোগের সংকট
ক্ষুদ্র দেহ পরিচর্যার অসীম গৃহ
তবুও দেয়ালের ভিতর বন্ধী
তবুও বেঁচে থাকার মানে খুঁজা।

না বিশ্বাসে না বিভাসে
না জলে না জলোচ্ছ্বাসে
না সমুদ্রে নাগরিক ছিলাম
সমুদ্র থেকে উঠে এসে
ডাঙ্গায় দাঙ্গায় এই পর্যন্ত এসেছি
প্রেমের স্বাদ লবণাক্ত হওয়ার কথা
অথচ মধুতে পূজন ভজন।

আমিত্ত্বে মাদক বংশগতি
ভানু বংশীয় বলে মিথ্যা অলঙ্কার
পর্যাপ্ত বিষ রক্তনালীতে
তাই ঠিকে গেছি জল কচ্ছপের মত
উট এবং জেব্রা ও জিরাফের মত।
অথচ নোখ আছে দন্ত বিশাল
সুড় দিয়ে দিনভর পান করি
পরের সুখ এবং নিজের দুখ্য।

না মঙ্গলে ছিলাম না অমঙ্গলে
না জওহরতে ছিলাম না জঙ্গলে
না রিরিংসুতে না অংশুতে
কারো বেদনা ও বিলাসে কিছুতেই না।

তারপর এলো কল্পনা
তারপর এলো সন্ধহপ্রবনতা
আমি কে আমি কেন আমি কি চাই
চমৎকার বুদ্ধি ও প্রযুক্তি
চরম বোকামী ও আত্মঘাত
সব মিলিয়ে প্রপঞ্চ বানিয়েছি
প্রজাতির বেড়া দিয়েছি গোত্রে গোত্রে।

না অক্ষমতায় না ক্ষমতায়
না সংসারে না মমতায়
না জ্ঞানে না সন্ধানী ধ্যানে
কিছুতেই আমার অস্তিত্ব ছিলান।

এই আমি আজ শক্তি ভক্তি মুক্তি সব
এই আমি পঞ্চ বায়ুর সমাহার
এই আমাকে ছাড়িয়ে আর কিচ্ছু নেই
আমি কাল, কালান্তর এবং কালবেলা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।