বিজয়ের দলিল ও দস্তাবেজ
- ইকবাল হোসেন বাল্মীকি - ধাতব নিদ্রায় কনাধারী ধুলির বাগান ১৯-০৫-২০২৪

০১।
কালেশ্বর, একই অঙ্গে এতো রঙ যমুনার
কালেশ্বর, একই গলায় এতো গীত যমুনার

পৈতানের বালিশ চিনতে পারিনি
হিতানের জননী পবিত্র ছিলনা ভ্রমে ও কালিক পতনে

জারজ সন্তান জন্ম দিয়েছি-
সংকরায়ন রক্তে আনে দাসের শুক্র
ঘাতক সন্তান জম্ম দিয়েছি-
পরাগায়নে ডিম্বানূ ফেটে কলঙ্ক ঢুকেছে

জারজ ইতিহাস হত্যা করে পুলাকাশ্রুতে ভাসছি
ঘাতক ইতিহাস হত্যা করে পুলিনে ফুঁটাই চন্দবকুল

পলিতে আমন আউস রাজভোগ রন্তমনি ধান
গলীতে রবীন্দ্রনাথ রাজেন্দ্র নীতেশ নৃপবর, জাগরণে
মানবেন্দ্র পুনস্থাপিত অঙ্গে মনে ও মজ্জায়

হে কালেশ্বের- যুদ্ধ ও মুক্তি রাজশ্রীর যুগল নেত্র
হে কালেশ্বর- রক্ত ও দুঃখ নৃপাসনের দ্বৈত রাজতিলক

হায় সুর্য তুমি হাজার বছর গ্রহন গ্রস্থ ছিলে
হায় সুর্য তুমি হাজার বছর মাদক মুর্খদের দণ্ড দিয়েছ

০২।

শশাংক তোমার কি মনে আছে স্বাধীনতার পুরাকথা
সম্রাট সুন্দরী ও প্রজা এদের কথা কি মনে পড়ে , মনে করতে পর কি না

রাজা গোপাল তোমার চরণ বিছারি রাজ্যে
হিরামন পাখির সেনাবাহিনী
অশ্বরাহী পারুল ফুলের গোলন্দাজ
ময়ুরপংকি নৌসেনা ও মধুমুখি বিমান সৈনিকের কথা
মনে করে দেখ

ন্যায়পাল ধর্মাধিকারী ধর্মাধ্যক্ষ ধর্মাসনে বসে বলতেন- জগত কুলীন হোক
রাজকার্য রাজধানীতে এবং রাজধানী রাজগৃহে , রাজা রানীর অন্তপুরবাসী

সে কালেও কলিকাল ছিল
তবে স্বস্থি ছিল স্বস্থি ছিল

ঘোলায় ছিল গানের মতো সুখ
পতিতা ও প্রকৃতি একমাত্র প্রতিযোগী ছিল
গলায় ছিল সন্ত ভাতের নলা
ইমিগ্রেন্টরা আসতো পলিমাটিতে ভাসতে ভাসেতে

তাইতো তাদের জিবনান্দ ছিল হিংসা ব্যাতিরেখে
তাইতো তাঁরা বেঁচে ছিল জলের দেশে জলের মতো
স্থিত জীবন, মৃত ঘোড়া, মাটে মাটে ফুলবানুদের ঘুড্ডির উড়াল দেখে

০৩।
সমতলে হেনবা দেশের ঘোড়া ছড়ি ও সুলতান
সমতলে তেনবা দেশের ঘোড়া মারী ও মনত্ত্বর

রক্তে পরপুষ্টা জীবাণুর সংক্রমন
নাগরলি ও বিন বখতিয়ার সংকৃতির গর্ভে আবার সংশ্লেষ
আটকপালী জম্মান্তরেও উনপাজরে

তারপর রবার্ট ক্লাইভ ও হজরত যীশু খৃষ্ট
তারপর ইউনিভার্সিটি ও ইষ্ট ইন্ডিয়ান কাঁটাচামচ ,চেয়ার, টেবিল
তারপর জাতপাত সীমান্ত ও ভৌগলিক বলৎকার রাষ্ট্র জজ আদালত

নতুন যুগ একদিকে বাবু একদিকে ক্ষুদিরাম
নতুন গাঙ্গে একদিকে রেল লাইনের রক্তস্রুত বনাম রাজনীতির ঐক্য
তবুও চট্রগ্রামে অগ্নিবারুদ, কোলকাতা উড়াল মারে ভয়ে দিল্লিতে
দীল্লি আবার দিল্লিতে ফিরে যায়
ভাগীরতির কূলে শোষণ রেখে শৌর্য মৌর্যবান হয় উত্তর খণ্ডে
পলাশীর মতো আরেক জয় এবং পরাজয়ের মিশ্রণ

হায়রে পলাশী আমারা দর্শক ছিলাম চেতনার চরিত্র নিদনে
হায়রে পলাশী আমাদের কে স্থাণু করে রেখেছিল সমাজ বিকাশ

মীর জাফর আলী খাঁ – রামলাল রাজনীতি
মন্সুরুল মূলক সিরাজ- সোহরোয়ার্দির মতো বাঙ্গালী

খিধা ছিলনা রাজ প্রাসাদ খেতে যাব কেন
অর্থ কষ্ট ছিলনা ভাড়াটে সৈন হতে যাব কেন

তারপর রাজধানী দিল্লির মতো পশ্চিমে সরে গেলে
সাদা আর্যের স্থলে তামাটে আর্যের আগমন, নেহরু জিন্না

লজ্জ্বা করেনা শালার শালবন বিহারে
লজ্জ্বা করেনা শালার শীলা ভাদ্রের হিরণ্ময় গর্ভা মাসির সন্তানে

একটা গোরাও মরেনি
একটা গোরাও মারতে পারিনি
মেরেছি দশ লাক্ষ সম-গর্ভজাত ভীত সন্ত্রস্ত হরিণী সাবক
কেটেছি মায়ের আপনা স্থন কুঁচি কুঁচি করে

অতঃপর পিতার মস্তক দ্বিখণ্ডিত করছি নিজের বয়স বেড়ে যাচ্ছে বলে
অতঃপর পিতার মস্তকের তিন ভাগের এক ভাগ নিয়ে জন্মদিয়েছি সেই জারজ সন্তান

০৪।

এবং বলেছি মাতৃভুমি
ভাতৃঘাতী যদিও পাকসার জমি
আমার তামাকের আফিম তৃষ্ণা পূরণ করেছ
দুধ কলা দাও কিংবা না দাও মিথ্যা বেলুন ঊড়িয়ে দিয়েছ

বাংলার বাঘ কায় ক্লেশে মুখ্যমন্ত্রী , গর্ভনর তারপর দালালে গোলাম মোহাম্মদ
বাংলার গনতন্ত্র কায়ক্লেশে উজিরে আজম তারপর দালালে গোলাম মোহাম্মদ-

কিন্তু বোকা খোকা বুঝেতে পারে সব কিছু ধোঁকা
জংগে নোয়াখালী জংগে আত্মহনন
জংগে কৈলকাত্তা জংগে জামালের ভাতৃহনন

হাত থেকে বিড়ি মুখ থেকে পান ফেলে
এক মোল্লা বেটার সাথে মিলে নৌকায় ছয়দফা তোলে
কমুদের মনি নেত্রকোনার সিং কে ও নৌকায় তোলে বলে কিস্তিমাৎ

মোল্লা কয় ওয়ালাইকুম সেলাম
খোকা বলে হুযুর তা হলে একদাফায় এলাম, বাজাও বেরি বাজাও ডঙ্কা
ভায়েরা আমার--------------এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

এই প্রথম সুর্যের পাতিলে রান্না হল রক্তের বুনিয়াদ
এই প্রথম নক্ষত্রের আলোয় উদ্ভাসিত হল শঙ্করজাত ঐক্য

আমরা কাউকে হত্যা করিনি, পশুও নয় কিছু অমানুষ হত্যা ছাড়া
আমাদের রক্তজবা টগর মল্লিকা
আমাদের তামা দস্থা ইস্পাত – শহীদ হয়েছে
আমাদের আকাশ বাতাস ভুমি- ধর্ষিতা হয়েও সতীত্ব আঁকড়ে ধরেছে

ভোর হয়েছে বারুদে দন্তমেজে
রাত্রি হয়েছে ভুজঙ্গ বেদের মন্ত্রে
রূপকথাকে নয় মানুষে কে আবার ফিরিয়ে দিয়েছি পৃথিবী
আমারা নিয়েছি এক খন্ড ভুমি – দলিলে বাংলাদেশ লেখা

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।