শোনি নিদ্রায় নুপুরের ধ্বনি
- ইকবাল হোসেন বাল্মীকি - ধাতব নিদ্রায় কনাধারী ধুলির বাগান ১৯-০৫-২০২৪

শোনি নিদ্রায় নূপুরের ধ্বনি
------------------------------------
মহামণ্ডল অন্ধ-আলোর গর্তে ডুবে যাচ্চে,সুন্দরী হিরামন নাচ
নক্ষত্রগুলো কে অন্ধ আলোর শিকারি তাড়া করছে, হিরামন নাচ

এই মুহূর্তের সৌরচক্র টিক আগের মুহূর্তের চাইতে পৃথক হয়ে গেল
এরই মধ্য লক্ষ লক্ষ টন জ্বালিনি হিলিয়াম সাইবেরিয়ান স্তেপের মাটি
এসব নিয়ম বন্ধ না হলে বেট-বামুন হয়ে আকাশে লটকে পড়ে থাকবে
এতো দিনের পদ্মপাণি সত্যাগ্নী সুন্দরের জলবন্দর ও জেলেদের যৌনব।

এরখম সম্ভাবনার শত-হাজার-লাখ-কোটি বছর বাকি- ঐকিক আলজাবির বলেছেন
এরখম একটা অনিবার্য ঘটনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রি-মাত্রিকতা সমুদ্রনাথ বলেছেন
এইধরনের সত্যতার প্রমাণ দুইটা দিবসের অনন্য ভিন্নতা, তোলনা ত্তত্বনিধি বলেছেন।

মহামণ্ডলের পেট কেন স্ফিত হচ্ছে? রম্বা তোমার কজ্জলী বিদারণ করো
মহামণ্ডলের স্ফিতি অফুরন্ত কেনে? মহা রম্বা তোমার কালকিষ্টি সরাও।

তাহলে কি দাড়ালো আজকের আমি গতকালের আমির মাঝে লক্ষ কোষ ব্যাবধান
তখনকার হাজার দেহকোষ ইউরিনাল দিয়ে বের হয়ে জলসেঞ্চন দিচ্ছে সাগরনেমিতে
তাগড়া দেহটা ক্রমশ এক নিত্ত পতনশীল অদৃশ্য বুরাকের উপর চলছে চরম গতিতে।

তারের মতো দৃঢ় চুল গুলোতে ধুসর ক্লান্তি, গ্লানির প্রভু ক্ষমা চায়
তদ্রুপ অনঙ্গের অরুচি এসেছে বলেই বদরীনাথ টুকামারে দরজায়
তাহলে এই বদলে যাওয়া টেঁকাতে পারিনা, টেকানর অবকাশ নেই ।।

কবেকার পরম ক্ষন থেকে মাইক্রো-মিনি-ননী’র পাল্লা দিয়ে ব্যাবচ্ছেদ করছি সেকেণ্ড গুলিকে
কখনো-ই গতির মন্দন নয় ত্বরণ ধর্ম বিরাজমান কি রত্নবতী কি আখিলখন্ডের বায়ুতে, সর্বভুতে
কৃষ্ণ-সংহারি সংঘর্ষের খবর প্রচার করেন জ্যুতির্বিদ লেন্সের ভিতরে আঠকে দিয়ে বিশ কোটি বছর।

কেন ঘটছে তার জন্য মাথার চুল ছিঁড়ছেন স্টীফেন হুকিং
কেন ঘটবে না বলে চুল ছিঁড়ছেন ইকবাল হোসেন বাল্মীকি
কিংবা “দা সাউন্ড অফ ব্যাক গ্রাউন্ডন্স রেডীয়েশন” এর জাতক
কেন আমি বলতে যাবো ঝিঝি পোকার ডাক “কুদরত-এ-খোদা”।

অবশ্য মেরুদণ্ডী কার্বন শিলক যুক্তি দিয়ে মুক্তির চাইতে অন্ধত্ব বরনে পটীয়সী পরাগ
অনিত্বতার গায়ে লেগে থাকা ধুলো-বালী-কয়লা পড়ে থাকে “নিরেট একাকিত্বের” আগে
অস্থিত্ব ধারনের আগে শক্তি,তার আগে এ বল বিক্রমের ধরন সম্পর্কে ধারনা ধারন করেনা।


অধিবিদ্যা ও ‘আহলে পুস্তকের’ রঙ মিস্ত্রী দেয়া ব্যাখ্যা হাস্যকর
অধিকাংশ বিনায়ক মনে করেন জায়মান জীবন বোধ আসছে
আসলেও আমরা মহাশক্তিমান অভিযোজনের ক্ষমতা রাখি
আসম পাহাড়ে, নিদুয়া পাথারে, অথাব আসন্ন মহাশূন্য বলয়ে।



[ইকবাল হোসেন বাল্মীকি । ২০০২ বার্মিহাম। যুক্তরাজ্য]

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।