পরি ও পতিতা
- ইকবাল হোসেন বাল্মীকি - ধাতব নিদ্রায় কনাধারী ধুলির বাগান ১৯-০৫-২০২৪

০১।

রাধানাথ রাধানাথ
দেখ দুরে সাপের কোটরে
রক্ত পুড়া সাপুড়ের বাঞ্জারাম খেলা-

রসুন ক্লোরাইড মানেনা নাগেশ্বর
সুতারনালী দেবী বাসুকি ছুবল
রাত ও রন্দ্রের হাওয়ায় মাতাল

সাপের মনিকে ঘিরে
নাচে রাজকুমারী বেলুয়া সুন্দরী

জলীয় ইতিহাসে সদাগরের মেয়ে
আউলানো ঝাঊলানো কম্পোজিশন
আহারে দুধের দেহ
নীল হয় পানে মারকিউরিক ক্লোরাইড।

০২।

বিয়ে হয়নি
বাসর হয়েছিল মাতৃগর্ভে আন্টিমনি খাটে
এর পর আর কোনো পর নেই-
-সিজিয়াম
-বেরিয়াম
-প্রিমিথিয়াম
খেয়া ঘাটে লুটেছে তারে ইশ্বরের বিষ।

প্রেমিকের সুভদ্রাসনে দ্রবিণ পাট্টায়
দেহ তাঁর খেয়েছিল টাংস্টেন ছুরি
কি রক্ত কি পূর্ণিমা সব ছিল এক।

০৩।
নেপচুনে রাত নেমে আসে
প্লাটুনিক প্রেমে এলেন ডিকেন্স, এজেরা পাউন্ড

এখন বোতলে বিউগল
বাজারে প্লাস্টিকের বেলুন
গ্লিসারিনে জন্য ইউরো ট্যানেলে ক্যানসার

হায় প্রথাগত প্রেম ও প্রেমিকা
বৎসরে দুইবার রক্তজবার পরীক্ষা দিতে হয়
যদি অবাঞ্চিত মাংসপিণ্ড ধরাপড়ে
চন্দ্রথেরাপি বন্ধ ইয়ে যায়
রজঃস্বলা আর বাগানে ফোঁটে না।

০৪।

লজ্জ্বাবতি হাঁসপাতাল দিগম্বর করেছ তনাই
জামিরবনে লেগেছে কাঠবেড়ালির অভিমান

জৈত্র যৌবনে মার্কারি রঙ
যারা খেল তাঁর হিসাব খোদায় রাখবেন
তাঁর যত গলানো দ্রবণ, তাদের কণায়

শূখানদে হাটে শুষ্ক কুমীর
ডাকে কুহেলিকা সুরে- ও মন মাঝিরে
জারুল ফুলের তখন গন্ধহানীর রেনিয়াম রোদন।


০৫।

ভঙ্গুরতার অভিসম্পাত
ভাসমান ত্রিকালের ফঙ্গবানি-

আটারো চাক্কার ট্রাক ছিড়েফেলে ইছামতির লটকন ব্রিজ
ঝালানোর মমজলে রূপসার ঘোলা টেউ, কালিমা বাতাস

চুপসানো পালের বুকে মৃত কাপ্তানের দূরবীনে-
ডাঙ্গায় লেগেছে চিরাচরিত দাঙ্গা মাংসের ‘মেমানী’
এইক গুস্তখোর একই রসবাজ
চরিতার্থ অবোধ জ্বলন্ত প্রানীর হুল্লুড়

আপ্তকাম সিদ্ধকাম লব্ধকাম শেষে
পরির যাত্রা পথে পতিতার দেশ
মাত্র অসম্ভ্রম সাতদিনে- সব খেয়ে নিল কিটের উৎসব

যামিনী যামিনী শুধু
হে নিশাচর পতিতা বরাত, দুষ্টগ্রহ পরি, অলিক ঔষধ।

০৬।

এরপর কিছু নেই মৃতঘাস ও সাবেক জীবন
কিছু সাপ ও কিছু প্রেমিক
যাঞ্চা করে পেলানা যারা অপস্বরা মন ও মাটি
শুধু তাদের ক্রোন্দল ও কান্নাকাটি, স্থির অনুপল লোহার করাল

অস্তোদয় হাওয়ার রেলিংধরে বসে থাকা জমরুদ বনে
ইয়াকুত , আকিক লহু হৃদপিণ্ডে পাম্প করে বিস্মৃতির ম্যালামাইন

কিচ্ছু আসে না কারো
-কালানলে
-কালগ্রাসে
-কালান্তরে
দেহ মন ইতিহাস সব পুড়ে ক্ষরণ শংঙ্কিনীর মন্ত্রপূত কয়লায়

স্পর্শ রূপ গন্ধ হীন ছুঁয়াচে অ-জাগতিক
সোডিয়াম আলো ও লোনাজলের মৃতদেহে জাগে অলৌকিক অংকুর
জানি পতিতা তবুও পরির মতো ইন্দ্রজাল পেতে কে যেনো রেখেছে

এসো হে পুর্নমাসী ভরাপেট সুচিভেদ্য রৌদ্র অন্ধকার
-রামধনু
-ইন্দ্রধনু
-শক্রুধনু
-সুরধনু
হে অন্ধ-মন্ডলীর নিশিনাথ অমানিশা, টেলিস্কুপের কাঁচ ভেঙ্গে
নাগকেশর কিংশুক – শাখামৃগের চৈতন্য এ কীসের প্রেমজাল, ধুম্রশিখা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।