গল্পের শেষ লাইনের প্রতীক্ষায়
- ফয়জুস সালেহীন ২১-০৫-২০২৪

মনতু মিয়া ভাবছে
এ কেমন জীবনযাত্রা?
প্রতিদিন ভোরেই শংকিত পদযাত্রা।
আগুনের লকলকে জিহ্বায় দগ্ধ হওয়ার শংকায়
ঘর থেকে বেরোয়,
ঘরে ফিরে হাফ ছেড়ে বাঁচে
আরো একটি দিন রক্ষা পাওয়ার তরে।
দুশ্চিন্তাগুলো ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকে মনতু মিয়ার।
সে যে ঝলসে যেতে দেখেছে
ঝলমলে কতো কতো সংসার।
আগুনের লেলিহান শিখা স্বপ্নেও তাড়া করে ফিরে।
মনতু মিয়ার সাধ জাগে শীতনিদ্রা যাপনের।
কিন্তু সাধের সাথে সাধ্যের ব্যবধান যে বিস্তর!
যে আগুনের ভয়ে মনতু মিয়া থাকতে চায় গৃহকোণে
তবে যে সেই আগুনই জ্বলবেনা তার উনুনে।
দগ্ধ হবে পরিপাকতন্ত্র।
মনতু মিয়া ভাবে এ কেমন রাষ্ট্রযন্ত্র?
যেখানে রাষ্ট্র ক্ষমতার ভার ন্যাস্ত হয়
একবার রাক্ষসের হাতে আরেকবার খোক্কসের।
প্রজাদের কেউ শ্লোগান তুলে রাক্ষস জিন্দাবাদ
আবার কেউ বলে জয় খোক্কস।
মনতু মিয়া ভাবে
এজন্য কি জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলো পূর্বপুরুষেরা?
শত শত মা বোনের সতীত্ব হয়েছিলো হরণ।
সে আরো ভাবে
চিত্রনাট্যে একজন রাজকুমারের আবির্ভাবের বড়ই প্রয়োজন।
যে নাকি প্রজাদের রক্ষা করবে রাক্ষস আর খোক্কসের হিংস্র থাবা থেকে।
গল্পের শেষ লাইনটা যেন এমন হয়-
অতঃপর মনতু মিয়ারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলো।

৩০/০১/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

faijus
০৪-০২-২০১৫ ১৬:৫৮ মিঃ

প্রতীক্ষায় রইলাম গল্পের শেষ লাইনটির।