আর কি কি খাওয়া যেতে পারে?
- শামীম এএ কবীর - পৃথিবীর বিশ্রী সব কবিতা-২ ২১-০৫-২০২৪

আর কি কি খাওয়া যেতে পারে?
দুধ দাঁত পরে যাওয়ার আগে দুধ খাওয়া ছেড়ে
ডালভাত, শাক ভাত, মাছ ভাত, মন্দ কি
কিন্তু যতো দিন যায় জিহবাও বুড়ো হতে খাকে
আরো স্বাদ চায়,
স্কুলে জেনেছিলাম প্রানী জগতের জাত প্রকৃতি
কিন্তু প্রকৃত পার্থক্য ছিলো খাদ্যাভ্যাস
কেউ বা হার্বি ভোরাস, কেউ কার্ণি ভোরাস কেউ বা অমনি ভোরাস

দীর্ঘ দিন হার্বি ভোরাসের অভিনয় করতে করতে
মানবীয় চেহারাটা কেমন যেনো রাক্ষস রাক্ষস হয়ে যায়
এখন এটা ব্যাপক প্রচারিত
বিবর্তনশীলতার এই পর্যায়ে
নিরামিষে আর ভালো লাগেনা
অমনি ভোরাস না হলে চলে?
বিভিন্ন ধরণের প্রোটিন কিংবা
উদ্ভিজ্জ্য ডালের স্বাদ নিতে নিতে
এক পর্যায়ে মহান কোম্পানীর
ফেন্সি ডিাল ও খাওয়া শুরু করে
তবে এটা শুধু ফ্যান্সির ছোয়া
ফ্যান্সি দিয়ে শুধু মন চলে, শরীর কি চলে?

তাই চিন্তা থেকেই যায়, আর কি কি খাওয়া যেতে পারে?
বিভিন্ণ স্টেরয়েড গেলানো, মোটা তাজা গরুর
স্বাদটাও এক সময় বিস্বাদ লাগে
তাই খোজ খুজি মেন্যূতে,
খাদ্য তালিকা চষতে চষতে
এক সময় রীতিমতো আবিষ্কার
চিংড়িমাছ তো সাক্ষৎ পোকা, তবে কাকড়াবিছা ,
কেঁচো বা মাকরাসা নয় ক্যানো?
আর সন্ধ্যে বেলায় ২/৪ টা মশা তো হামেশাই চলে।
মিষ্টির ঝোলের মাছি কিংবা চিপাগলির হোটেলে
তেলাপোকার ঝোল খাওয়ার দৃশ্যটা মন্দ কি?
কতো তেল তেলা পোকার গায়ে?
তেলাপোকা ফ্রাই চমৎকার হতে পারে!

শুধু কি তাই সাপ ব্যাং বেজী কিংবা
আস্ত টিক টিকি রোস্ট কিংবা স্যূপ মন্দ কি!
কেউ তো টিকটিকি লেজকে ফেন্সি গুরু বলে।
এসব শুধু মাত্র মানুষের খাদ্য তালিকা
দৈত্যেরা যতোটুকু, তবে খুধার জ্বালায়,
তবে মানুষ বলে কথা
খাদ্য কি অখাদ্য সবটাই চলে

বাংলা কি তাড়ি, গ্লাস কিংবা হাড়ি
টিনের কৌটায় তামাকের নিকোটিন
বড়োরা বলে
আসলে মুখের সুগন্ধি কারক জর্দা মাত্র
ছোটো বড় সব্বাই চলে, ২/১ টা বিড়ি এ আর কি
কাশতে কাশতে কি আর হবে? বড়জোর হাঁপানি
ওৎ পেতে থাকে কেরু এন্ড কোং
রেক্টিফাইড খেতে খেতে ম্যথিলেটেড ও চলে
মাঝে মাঝে প্লাস্টিক জোড়া লাগানো গাম
কিংবা স্পিরিট ক্লোরোফরম
ডেটল, স্যাভলন, পেট্রেলের গন্ধটা ও দারুন
তবে তা একটু মাথা ঝিমঝিম হওয়ার জন্য।

আরে, এগুলো তো অকেশনাল
কিন্তু আমরা সব্বাই আরো মারাত্মক খোর
এ্যাভেইলএ্যবেল খাই আর দিব্যি চলি
আবাল বৃদ্ধ বণিতা সব্বাই
আর বলি খাও খাও,
সত্যি এগুলোতে কোনো প্রিজারভেটিভ
ফরমালিন কীটনাশক বা হরমোন নেই
তবে তা শাক-ভাতে, ডাল-ভাতে আর মাছ-ভাতে
হরহামেশাই খাই ফুলে আর ফলে
আর দিব্যি চলি।

নাম গুলোও অসাধারণ
ম্যালাথিওন, ডাইমেক্রন, সুমিথিয়ন, বাসুডিন
মিরাকুলান থিওভিট আরো কতো কি
একসময় যা মানুষ খেতো আত্মহত্যার জন্য
এখন কিন্তু এগুলো উন্মুক্ত রেজিস্টার্ড ট্রেইড মার্ক
সবাই খায় তবে আত্ম হত্যার জন্য নয়, হজম করার জন্য
এমন কি আজকে জন্ম নেয়া শিশুরাও,
দুধ দিয়ে খায় আর, দিব্যি চলে
তাই রাজা মহাজন ও বলেন
এগুলো প্রজাগণ খান আর দিব্যি চলেন
ইশ্বরের দিব্যি, মাথা ঝিম ঝিম করার জন্য নয়
জীবন ধারণের জন্য
তাই জীবনের সাথে সাথে
চিন্তাও জীয়ে থাকে
আর কি কি খাওয়া যেতে পারে?


-------------------- ১২/২/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।