শিশুর বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ
- শহীদুল ইসলাম প্রামানিক ২০-০৫-২০২৪

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

নিস্তব্ধ নিঝুম রাত
ফুটপাতের দেয়াল ঘেষে
ছেঁড়া ন্যাকড়ায় পেঁচানো
ছোট্ট শিশু ঘুমে বিভোর।

দেয়ালের ওপাশে জন্মদাত্রী মা,
নরপশুদের দৈহিক ক্ষুধা মেটাতে আবদ্ধ,
প্রাণপণ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
বিনিময়ে পাচ্ছে
চ্যাপেটাঘাত, পদাঘাত, মৃত্যুর হুমকি
অথবা এক টুকরো শুকনো রুটি,
নিরান্ন পেটে অন্নের আংশিকতা।

রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে ছোট্ট শিশু
প্রতিবাদী কন্ঠে চিৎকার দিলো–
“শীতার্ত রাতে বুকের উষ্ণতা
ক্ষুধার্ত অবস্থায় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী
জননীর দুটো মাই
যা আমার জন্মগত অধিকার
কে বঞ্চিত করেছো আমাকে”?

বিক্ষুব্ধ শিশুর দু’টো পা
পদাঘাতের পর পদাঘাত করছে এ পৃথিবীকে
মুষ্টিবদ্ধ হাত
প্রাণপণে ছুঁড়ছে উর্ধ্বে
যেন অধিকার আদায়ে
ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবে এ বিশ্ব ব্রমান্ডকে।

প্রতিবাদী কণ্ঠ তীব্র থেকে তীব্রতর হলো
ফুটপাতে শুয়ে থাকা কুন্ডলীকৃত ককুরগুলো
ছোট্ট শিশুর সাথে একত্মতা ঘোষণা করল।
শুরু হলো বজ্র কন্ঠে দলীয় স্লোগান
কানফাটা আওয়াজে কেঁপে উঠল নগর
জড়ো হলো নাইটগার্ড, বাড়ীর দারোয়ান
কুঁকড়ে থাকা ছিন্নমুল
শিশু ও কুকুরের সুতীব্র চিৎকারে।
সুনিদ্রা ভঙ্গ হলো বাড়ীওয়ালাদের
রক্ষা পেল হায়েনাদের হাত থেকে জন্মদাত্রী মা
অবশেষে শিশুটি ফিরে পেল তার অধিকার।

হে প্রতিবাদী শিশু!
আমরা যা পারিনি তুমি তা পেরেছো,
তোমার প্রতিবাদী কন্ঠ
ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্ব ব্রমান্ডে
নেতৃত্ব তোমার হাতে তুলে দিলাম
অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি দূর করার
অধিকার আদায়ের সমস্ত অধিকার
উপর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত।

হে শিশু!
আমি আশাবাদী,
আগামীর নেতৃত্ব তোমার হাতে
তোমার প্রতি রইল আমার অসামাপ্ত আশীর্বাদ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।