ফুল
- মাহাবুব আলম ২০-০৫-২০২৪

ধরণী কাননে পুষ্প ভেসে
কোন সে সুশীল কুমারী ?
আঁখি যেন তার উজ্জল ভার
যেন জোঁৎস্না রাতের পরী ।
বাতায়ন দ্বারে সুর-সমাহারে
মধুকালের ভৃঙ্গ,
রাজ্য-মোহিনী রানী সাঁজে যেন
নব নির্মল অঙ্গ ।
কে সে ভাবি অঞ্জলি রানী
কুহুক সুরেতে ডাকি যায়,
শশীধর ঐ নয়ন তুলিয়া
কোন প্রাণেতে বাধি লয় ।
জাগাইয়া তব শর্বরী চাঁদ
আলোতে ভরিয়া নীড়,
কুশল রবেতে বার বার যেন
ছড়ায় আপন আবির ।
তাহার অলকের ঐ তীক্ষ্ন সুভাষ
আসিয়া আমার ঘরে,
নূতনের কোন বানী শুনায়ে
ফিরে যায় বারে বারে ।
ধূর্ত নয়নে কাজল গিরি
চপল তাহার হিয়া,
নব কদম্ব অন্তরে ফুটি
অন্তরীক্ষ জাগানিয়া ।
তন্দ্রাহরিনী বিশ্ব মোহিনী
অনঙ্গ সমীরণে,
কলকন্ঠ হরিছে যেন
আপন গীত তানে ।
সে যে ঊর্মি সম সলিল স্বাধীন
মানবী সন্ন্যাসিনী,
বিহগের মত প্রান্ত ছাড়িয়া
ভুলিয়াছে স্রোতস্বিনী ।
কোন সাগরের ধার ঘেষে ঐ
কোন আদ্রি পাশে ?
অলি হয়ে যেন বারংবারে
ঐ ইন্দ্রজালিনী হাসে ।
দুয়ারে তাহার সঞ্জীব ছায়া
রাখিয়াছে কার তরে,
বার বার ভাবি কম্পিত ঘন
দিবস-যামিনী পরে ।
যতবার আমি সুধাইনু তারে
প্রস্তর হিয়া রাণী,
একবার ফিরি শুনাইও মোরে
তোমার মধুর বাণী ।
ওগো রাগিণীর মহা নগ
টুটি শৈল সম হিয়া,
হও পুষ্প রাগের বিহগ ।
আজি কত কাল কত দিবস যামিনী
কত মহাকাল রাজে,
এমনি করেই আসবে কি গো ?
এই ধরনী কানন মাঝে ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।