ডিভোর্স ২
- আশরাফুল ইসলাম শিমুল - ইচ্ছেখুশী ২০-০৫-২০২৪

"এ পথে কত পথিকের চেনা সুর শুনেছি -
গুনেছি পায়ের ছাপ ,
উদাস হয়ে উদাস দুপুরে ঘুমিয়ে অর্ধ বিশ্রাম স্নান,
আঙ্গুল টিপে টিপে বয়ে নিয়েছি সারা শহরের ব্যস্ত ঘ্রাণ,
সমীকরণটা বিষাদ -
তোমার আর আমার ভগ্নস্তুপ
পায়ে পায়ে দুরত্ব বাড়িয়েছি
তোমার হাতের চুড়ি ভেঙ্গে
হৃদয় করেছি ছাড়খার -পুড়েছি আমি
উনুনে শীতের প্রদাহের প্রহসনে,
ঘাসফড়িঙের মৃত দেহে অবিরত স্নানে -
ভেবেছিলাম একদিন সব শ্রাবন, বসন্ত, ফাল্গুন আর কিছু শীত তোমার ব্যালকনিতে চাষ করবো।

ভাবতে ভাবতে চেনা -অচেনায় হারিয়ে ফেলেছি
আমার বাড়ন্ত প্রতিমূর্তি ছায়া,
তারা প্রতিমুহুর্তে আমায় তারা করে,
বিষন্ন ক্লমে,
তোমার জাগ্রত সহস্র ছবিমূর্তি আমার হৃদয়
সেলে,
কতনা সযত্নে সাজিয়ে রেখেছিলাম
তা হয়তো এই অভিলাষী আত্মবিলাসী স্মৃতিকুড়ই জানে।

আজ হঠাৎ তোমার হাতে ভাঙা চুড়ির শব্দ শুনতে পেলাম,
নিঃসঙ্গ অভিমানী রাতে
স্মৃতিকুড়ে জমা অভিমান গুলো বের করে
উড়িয়ে দিলাম সাদা খামে
একটা চিরকুটে সহস্রাধিক অভিমানে জর্জরিত দুরত্ব
আমার আর তোমার-
অব্যবহৃত একটা আয়না, একটা মেকাপ বক্স,
আলমিরা ভর্তি শাড়ী আর তোমার পছন্দ সেই নীল ফিতাটা,
বিছানায় এক বুক ভরা শূন্যতা পরে আছে,
আর সাঁজানো সুকেচ ভর্তি আমার কুড়িয়ে আনা স্মৃতি
তোমার জন্য এক বিলাস দুঃখ করে এখন।

কেমন আছো?

যখন ব্যস্ততার মধ্যে ডুবেছিলাম নাক ডুবানো নিঃশ্বাসে
তখন তোমায় এতোটা খুঁজিনি,
তখন তুমি খুব কাছে ছিলে হয়তো-তাই
আজ তুমি অনেক দুরে
সময়ের পালাক্রমে আমার সমস্ত হৃদয়ের ব্যালকনিতে চাষ করে যাচ্ছো শীত,বসন্ত,ফাল্গুন, গ্রীষ্ম।

বিরহটা জমে জমে বরফ হয়ে গেছে
সংক্ষিপ্ত পথচলায় বাকরুদ্ধ দীর্ঘশ্বাসের একটা ইতি সূচক রচনার দেহ ক্ষয়ে গেছে,
দুর পাহাড়ে তুমি একটা ভাষ্কর্য, আমার কবিতার দ্বীপ। "

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।